উখিয়ায় বিদ্যুতের এগার হাজার ভোল্টেজের লাইনের কবারহীন তার ছিড়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে ৫টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা গরু বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া গরুর মাঝে ৪টির মালিক স্থানীয় পাগলিরবিল এলাকার শাহআলম ও অপরটির মালিক ভালুকিয়ার গুরা মিয়ার ছেলে বদিউল আলম।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সপ্তাহের প্রতি রবিবার মরিচ্যায় গরুবাজার বসে। প্রসিদ্ধ এ বাজারে সীমান্ত এলাকার দু’উপজেলার গরু-মহিষ বিক্রির জন্য তোলা হয়। ১১ জুনও সপ্তাহিক বাজারে বিক্রেতারা গরুসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে বাজারে আসেন। মরিচ্যা বাজার এলাকা দিয়ে রামু সেনা নিবাসের দিকে যাওয়া এগার হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক লাইনের একটি তার অকস্মাৎ ছিড়ে নিছে পড়ে যায়। তারটি পাঁচটি গরুর উপর পড়ে ঘটনা স্থলে স্পৃষ্ট হয়ে মারাযায় গরুগুলো।
ঘটনার আকস্মিকতা হত বিহবল হয়ে দিকবিদিক ছুড়তে থাকে বাজারে আসা লোকজন। এসময় বেশ কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতা আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেলেও তাদের পরিচয় তৎক্ষনাত কেউ জানাতে পারেননি।
পল্লী বিদ্যুতের উখিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম খালেদ মোশারফ জোয়ার্দার তার ছিড়ে পড়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রামু সেনা নিবাসে নিয়ে যাওয়া এগার হাজার ভোল্টেজের লাইনটির তারে কবার নেই। ফলে বেশ কয়েকবার তার ছিড়ে অঘটন ঘটছে। এটি উর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে।
এদিকে, বাজারে নিয়ে আসা জীবন্ত গরুগুলো মুহুর্তে মরে যাওয়ায় বাকহীন হয়ে যান গরুর দু’মালিক। কিছুটা ক্ষতি পুষাতে মারা যাওয়া গরু থেকে তিনটি গরু দ্রæত জবাই করে দেয়া হয়। এলাকার লোকজন তা দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাকে খবর দেন। খবর পেয়ে স্থানীয় হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম ও ইউএনও মাঈন উদ্দিন ঘটনাস্থলে আসেন। মারা যাওয়া গরু গুলো মাটিতে পুতে ফেলার নির্দেশনা দেন ইউএনও।
ক্ষতিগ্রস্ত শাহ আলম ও বদিউল আলম বলেন, আল্লাহ এ কোন বিচার করলেন জানি না। তবে ইউএনও মহোদয় ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে বলেছেন, দেখি কতটুকু পাওয়া যায়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।