সম্প্রতি একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়ে আসছে উখিয়া উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন ক্রাইম জোন নামে পরিচিত পালংখালীতে। যারই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে প্রত্যক্ষদর্শীর খবরের প্রেক্ষিতে উখিয়া থানা পুলিশ পালংখালী ইউনিয়নের মুছারখোলার গভীণ অরণ্যে গর্জন গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এক কিশোর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সে ওই এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবু হামজা(১৭)।
তবে এটি কি আত্মহত্যা নাকি হত্যা এ নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও আত্মহত্যাকারী কিশোরের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, জন্ম থেকে স্বভাব,সুলভ চরিত্রের ছেলে ছিল আবু হামজা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় উশৃংখল যুবকের সাথে মিশে সে পিতা-মাতার অবাধ্য হয়ে যায়। প্রায় সময় মোবাইলে কথা বলতে থাকে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে। এই ভাবে জড়িয়ে পড়ে অজ্ঞাত মেয়ের প্রেমের ফাঁদে। তাঁর মামা আব্দুল গফুর জানান, রোববার সন্ধ্যায় বাড়িতে রাগ করে বেরিয়ে যায় আবু হামজা। কারন সে গত কয়েক মাস ধরে তাঁর মা-বাবাকে বার বার বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু সে মা-বাবার অবাধ্য হয়ে পড়ায় বিয়ে করাতে নাজি হয়নি তাঁর পরিবার। যার ফলে সে বাড়ির পাশের্^ গভীণ অরণ্যে ঢুকে গর্জন গাছের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, যে গাছে তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে, সেই গর্জন গাছটি সাইজে অনেক ছোট, এতো ছোট গাছে ফাঁসি খাওয়াটা সন্দেহের ব্যাপার। এছাড়াও আত্মহত্যাকারী কিশোরের গায়ে কয়েকটি ছিকাঁ দেখা গেছে। এতে ইংরেজি শব্দ এইচ,এন এবং আর, এতে কি বুঝায় তা খতিয়ে দেখা দরকার প্রশাসনের। তাঁরা মূল রহস্য উৎঘাটনের জন্য পুলিশের প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।
উখিয়া থানার উপপরিদর্শক আব্দু রাজ্জাক বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে যেটি দেখেছি মনে হয়না সে আত্মহত্যা করেছে। এরপর ও কোন প্রমাণ না পাওয়ায় প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে আরো বিস্তারিত দেখা হচ্ছে, আসলে কি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।