উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়ক ও উপ সড়কগুলো বালি ও মাটি বর্তি ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কে ভারী যানচলাচলের কারনে সাধারণ পথচারী ও রিক্সা, সিএনজি, টমটম চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নজর নেই বললেই চলে।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের পালংখালী মোছাখোলা ১২ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত বালি ও মাটি বর্তি ভারী যানবাহন চলাচল করার কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দক ও ধুলাবালির কারণে সাধারণ পথচারী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের চলাচলের বিঘœ ঘটছে প্রতিনিয়ত। কালভার্ট, ব্রীজ, থাকলেও কালভার্ট ব্রীজের দু’পার্শ্বের মাটি সরে যাওয়া ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কালভার্ট ও ব্রীজগুলো যোগপযোগী ব্যবহৃত হচ্ছে না। যোগাযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এতদঞ্চলের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
স্থানীয় মুরব্বী সৈয়দ আকবর মাষ্টার জানান, দীর্ঘ ৪৫ বছরের অধিক সময় পার হলেও পালংখালী বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও মোছাখোলা এলাকাটি টিক আগের মতই রয়ে গেছে। এই কাঁচা সড়কটি সংস্কারের অভাবে অবেহেলায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। অথচ উন্নয়ন নির্ভরশীল এ অঞ্চলটিকে দরিদ্র মানুষের স্বার্থে সড়কটির উন্নয়নের জন্য জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি দেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হকের কাছে সড়কের বেহাল দশায় পরিণত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধ বালি ও মাটি ব্যবসায়ীদের ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটি এ ধশায় পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাঁচা রাস্তাগুলোতে যেন মাটি ও বালি ব্যবসায়ীদের ভারী যানবাহন ডুকতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
এব্যাপারে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বালি ও মাটি ব্যবসায়ীরা শুধু নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও দেশ জনগণের অপুরনীয় ক্ষতির কথা ভাবে না। চলতি মৌসুমে সড়কটির উন্নয়নের বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে এ প্রতিদেককে বলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।