২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

উখিয়ায় নির্মিত স্লুইচ গেট কৃষকের দুর্ভোগ খাল ভাঙ্গনের কবলে জনবসতি

উখিয়ায় কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্য নির্মিত ৪টি স্লুইচ গেট স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। বিএডিসি ও ঠিকাদারের যোগসাজশে জনমতকে উপেক্ষা করে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি আশ্রয় নিয়ে নির্মিত স্লুইচ গেটের কারণে খালের ভাঙ্গনে পড়ে স্থানীয় লোকজন ভিটে মাটি হারাচ্ছে। নির্মানের ৪বছর পরও এসব স্লুইচ গেট কৃষকদের কোন কাজে আসছে না। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় লোকজন নির্মিত স্লুইচ গেইটের কারণে তাদের সর্বস্ব হারাতে বসেছে বলে অভিযোগ করেন। জানা গেছে, গত ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তত্ত্বাবধানে উখিয়ার হিজলিয়া খালের গয়ালমারা এলাকার একটি স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় এলাকাবাসীর আপত্তি ও কৃষকদের গুরুত্বকে উপেক্ষা করে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে প্রায় ২৭ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইচ গেটটি নির্মাণের ৪বছর পরও পানির অভাবে চালু করা যায়নি। বিএডিসি’র নিয়োজিত ঠিকাদাররা সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের যোগসাজসে যথাযথ নক্সা, ডিজাইন, ড্রয়িং অনুসরণ না করে স্লুইচ গেট নির্মাণ করায় স্থানীয় কৃষকদের কোন কাজে আসছে না বরং খালের ভাঙ্গন তীব্রতর হয়ে খাল পাড়ের অসহায় লোকজনের ভিড়ে মাটি খালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসত ভিটে হারানো দারিদ্র রিক্সা চালক আবদুর রহিম, দিন মজুর মাহমুদুল হক সহ ক্ষতিগ্রস্থ অনেকে বলেন, উক্ত স্থানে স্লুইচ গেট নির্মাণের সময় এটি স্থানীয় কৃষকদের কোন কাজে আসবে না বলা সত্ত্বেও কেউ তাদের কথা শুনেনি
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খাল পাড় থেকে ৩-৪ ফুট নিচে স্লুইচ গেটটি খালের পুরো মুখ জুড়ে না করে কিছু অংশে নির্মাণ করায় গত বর্ষাকালে খালের ও পাহাড়ি ঢলের পানি স্লুইচ গেটের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বর্ষাকালে পানি স্বাভাবিকভাবে নিষ্কাষন ও প্রবাহিত হতে না পারায় স্লুইচ গেট সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে ব্যাপক ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। এতে বিস্তৃর্ণ ফসলী জমি, বসত ভিটা, খাল গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ ব্যাপারে অনিয়ম, করচুপির আশ্রয় নিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত স্লুইচ গেটের কারণে ব্যাপক ক্ষতির কবল থেকে রক্ষার জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট অফিসে আবেদন করলেও কোন কাজ হয়নি বলে জানা গেছে। রাজাপালং ইউ,পি, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও সংশ্লিষ্ট ইউ,পি, ওয়ার্ড সদস্য মীর শাহেদ, রতœাপালং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী বলেন, অপরিকল্পিত স্থানে তাদের সাথে পরামর্শ ছাড়া স্লুইচ গেট নির্মাণের ফলে এলাকার লোকজন বসত ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।
সিডিউল অনুযায়ী রড, সিমেন্ট ও অন্যান্য উপকরণ যথাযথভাবে না দিয়ে ঠিকাদার বিএডিসি’র নিয়োজিত প্রকৌশলীদের যোগসাজসে নিম্নমানের কাজ করে ব্যাপক নির্মান ত্রুটির কারনে স্লুইচ গেটের মাঝখানে ও উইং ওয়ালগুলো ফেটে দেবে গেছে। সরজমিনে উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের দৌছড়ি, পশ্চিম হরিনমারা ও উত্তর পুকুরিয়ায় নির্মিত আরো ৩টি স্লুইচ গেট ও একই অবস্থায় পতিত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এভাবে প্রায় কোটি টাকার বেশী ব্যয়ে নির্মিত স্লুইচ গেট গুলো কৃষকের কোন কাজে তো আসছে না বরং জন দুর্ভোগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা দাবি করে অভিযোগ করেন বিএডিসি স্থানীয় ভাবে কৃষক ও জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কোন রকমের পরামর্শ ছাড়া খালের যত্রতত্র স্থানে স্লুইচ গেট নির্মান করায় তা কৃষকের উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশী হচ্ছে। প্রতি বর্ষা মৌসমে এসব স্লুইচ গেটের কারনে পানি স্বাভাবিক চলাচল প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। উখিয়ায় বিএডিসির কোন কার্যক্রম বা অফিস না থাকায় সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উখিয়া কৃষি অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, কোথায় কোন এলাকায় স্লুইচ গেট নির্মিত হয়েছে এবং এর উপকারভোগী ও আওতাধীন চাষের জমি সম্পর্কে বিএডিসির সাথে কোন যোগাযোগ না থাকায় কিভাবে করা হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।