২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

উখিয়ায় পলিথিনের আড়ালে নির্বিচারে পাহাড় কাটা চলছে

UKHIYA PIC 31.03.2015.psd
পাহাড়কাটা, বনসম্পদ ধ্বংস ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা, বালু উত্তোলনসহ যত্রতত্র ইটভাটা তৈরি করে পরিবেশ দূষণ করলেও পরিবেশ আইনে মামলা হচ্ছে না। মান্দাতার আমলের বন আইনে মামলা রুজু করে বনকর্তা ব্যক্তিরা তাদের দায়িত্ব শেষ করায় অভিযুক্তরা আদালতের বারান্দা থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বনখেকো দুর্বৃত্তের দল। সরকারি বনভূমির পাহাড় কেটে মাটির পাচারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার ফলে উখিয়ার বনভূমি বিরাণভূমিতে পরিণত হচ্ছে।
সূত্রমতে এ উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী, সোনাইছড়ি, হরিণমারা, হলদিয়া, হাজির পাড়া, দোছরী, মধুরছড়া, লম্বাশিয়া, পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা, মোচারখোলা, তাজনির মারখোলা, থাইংখালী, নলবনিয়া, রহমতের বিল, ধামনখালী, বালুখালী, শিয়াল্যাপাড়া, হাতিরঢেরা প্রভৃতি এলাকা জুড়ে পাহাড় কেটে বনভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের হিড়িক পড়েছে। মাঝে মধ্যে বনকর্তা ব্যাক্তিরা অভিযান চালিয়ে হাতে গুনা কয়েকজন দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে বন আইনে আসামী করলেও বৃহত্তর অপরাধীচক্র ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ২০ একরেরও অধিক বিশাল পাহাড় কর্তন করে বনভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ থাইংখালী বিট কর্মকর্তা আবদুল মন্নান অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের নিকট থেকে গাড়ি প্রতি ২শ’ টাকা করে উৎকোচ নিয়ে থাকে। যার ফলে বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।
জানতে চাওয়া হলে কামাল নামের এক যুবক বললেন, এ পাহাড়টি ব্যক্তিমালিকানাধীন জোত জমি। বসতবাড়ি নির্মাণ করার জন্য পাহাড় কাটা হচ্ছে। পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে কেন জানতে চাওয়া হলে ওই যুবক বলেন, সরকারি বিভিন্ন লোকজন এসে বিরক্ত করে, তাই পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এব্যাপারে উখিয়ার ঘাট বনবিট কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, ওই এলাকাটি তার বনবিটের পড়েনি বিধায় পাহাড় কাটার ব্যাপারে তার জানার কথা নয়। থাইংখালী বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান পাহাড় কেটে বনভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাকে জমির দলিল পত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। যদি বনভূমির জায়গা হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা রুজু করা হবে।
কক্সবাজার পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, তারা বনভূমি রক্ষা ও খাল থেকে বালি উত্তোলন প্রতিরোধ সহ অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে কাজ করে আসছে। পাহাড় কাটার বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বস্ত করেন। উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম মিয়া জানান, পাহাড় কর্তন প্রতিরোধে স্ব স্ব বনবিট কর্মকর্তাদের তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি ধামনখালীর পাহাড় কাটার ঘটনাটি সরেজমিন তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বস্ত করেন। পরিবেশ আইনে কেন মামলা হচ্ছে না জানতে চাওয়া হলে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ফেলে তারা পরিবেশ আইনে মামলা করতে বাধ্য।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।