কক্সবাজারের উখিয়া, কোটবাজার ও মরিচ্যা বাজার এলাকায় বহিরাগত পাগলের উপদ্রুপ বেড়ে যাওয়ায় স্কুল মাদ্রসায় পড়–য়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাতায়তে আতংকের মধ্যে রয়েছেন। এসব পাগলরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের আশ পাশে, জনবহুল ষ্টেশন এবং রাস্তার মোড়ে প্রতিনিয়ত অবস্থান করে। তাদের দানব মূর্তি চেহারা, লম্বা চুল, চালচলন, অশ্লীল গালিগালাজ, লাঠি, ইট পাটকেল নিয়ে পথচারী, শিক্ষার্থীদের ধাওয়া সহ আঘাত করার কারনে শিক্ষার্থীরা আতংকের মধ্যে থাকে। যার কারনে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাতায়তে অনিহা প্রকাশ করায় অভিবাকরা উদ্ধেগ উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন। কোটবাজার এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সওদাগর অভিযোগ করে জানান, কোটবাজার ষ্টেশনে বর্তমানে ১৫/১৬ জন বহিরাগত নারী পুরুষ পাগল আছে। তারা কোটবাজার সোনার পাড়া সড়ক, মসজিদ সড়ক, রতœাালং টেকপাড়া সড়ক ও আরাকান সড়কের পাশে এবং জনবহুল স্থানে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন অপ্রীতিকর পরিবেশে সৃষ্টি করে। কিছু কিছু পাগল প্রায় সময় হাতে ইট পাটকলে ও লাঠি রাখে। তারা বিভিন্ন পথচারীদের মারধর সহ ধাওয়া করে। স্কুল মাদ্রসায় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা এসব পাগলদের কারনে শিক্ষা প্রতিষ্টানে যাতাযত করতে ভয় পাচ্ছেন। উখিয়া বাজারের অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, সীমান্ত উপজেলা উখিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে পাগলের উপদ্রুপ বেড়ে গেছে। বর্তমানে উখিয়া বাজারে বহিরাগত ১০/১১ জন পাগল রয়েছে। তৎমধ্যে কয়েকজন পাগল ভারতীয় ভাষায় কথা বলে। তাদের পাগল বেশে সন্ধেহ জনক চলাফেরা সাধারন মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। অনেকেই বলছেন তারা ভারতীয় সহ ভিনদেশীয় নাশকতাসৃষ্টিকারী গুপ্তচর হতে পারেন। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন সাংবাদিক অভিযোগ করে জানান, বেশির ভাগ সময় কয়েকজন পাগল উখিয়া থানার সামনে, উখিয়া মডেল প্রাইমারী স্কুল, উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা পরিষদ এবং উখিয়া গার্লস স্কুলের অস্থায়ী বিজিবি ক্যাম্পের পার্শ্বের অবস্থান করে থাকে। প্রশাসনিকভাবে এসব পাগলের উপর নজরদারী রাখা জরুরী বলে তারা মনে করেন। স্থানীয়রা এসব পাগলদের অনত্র নিয়া যাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।