২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

উখিয়ায় পানের বাজার চড়া : কৃষকের মুখে হাসি

উখিয়া উপজেলায় হাট বাজার গুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পান। ফলে স্থানীয় কৃষকের মুখে হাসি ফুঠেছে। অন্যদিকে উখিয়ার পান গুনগতমান সম্পন্ন হওয়ার সুবাদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে জানা গেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার জালিয়া পালং, রত্না পালং, হলদিয়া পালং, রাজা পালং ও পালংখালী ইউনিয়নের ৪৫০ হেক্টর জমিতে পানের চাষাবাদ হয়েছে । উপজেলার প্রায় ১২০০ কৃষক পান চাষের সঙ্গে জড়িত। বাজারে পানের নায্যমুল্য থাকায় কৃষকরা পান চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে জানা যায়, বর্তমানে ভালমানের এক বিরা পান বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০টাকা। মাঝারী সাইজের পানের বিরা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। ছোট সাইজের পানের বিরা ৭০/৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বাজারে কৃষকরা পান বিক্রি করে মোটা অংকের লাভ করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া পানের মৌসুমের শুরুতে শুধু কোটবাজারে প্রতিদিন ৮-১০ লাখ টাকার পান বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
রাজাপালংয়ের তুতুরবিলের জামাল উদ্দিন জানান, বাজারে পানের নায্যমুল্য রয়েছে। অনেক সময় ব্যবসায়ীর ক্ষেতে এসে পান ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন এছাড়া মৌসুমের শুরুতেই পানের উচ্চ মুল্য থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছেন । সামনের পানের আরো মুল্য বৃদ্ধির আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রতœাপালংয়ের পানচাষি আবুল কালাম জানান, এখানে সাধারণত মিষ্টি ও ঝাল পানের চাষ হয়ে থাকে। আশ্বিন মাস থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত চাষিরা পানের চারা লাগায়। ফাল্গুন থেকে বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য,আষাঢ়, শ্রাবণ মাস পর্যন্ত পান বিক্রির সময়। এছাড়াও বার মাসই পান বিক্রি হয়।
নিদানিয়া নুরুল আলম জানান, তিনি ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ পানের বরজ করেছেন। ইতিমধ্যে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পেয়েছেন তিনি। নায্যমুল্য বিদ্যামান থাকলে দুইলক্ষ টাকা লাভের আশাবাদ করতেছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল কাসেম সওদাগর জানান, উখিয়া উপজেলার পানের চাহিদা বেশি। তারা হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, দোহাজারী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পানের আড়তে পান পাঠিয়ে থাকেন। সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা দুবাই, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পান রপ্তানি করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগমুক্ত থাকলে পানের বাম্পার উৎপাদনের আশা করতেছেন। এছাড়াও হাটবাজারে পানের ন্যায্য দাম পাওয়ার কারণে কৃষকেরা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।