উখিয়ার মধুরছড়া বনভূমির জায়গা দখল করে গড়ে উঠা ৫০টি সেমিপাকা স্থাপনা উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বনবিভাগ। এ ঘটনায় উখিয়া সদর বনবিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রমতে, উখিয়ার একটি বন রেঞ্জ ও ৮টি বনবিটের আওতায় প্রায় ১৮ হাজার একর বনভূমি কাগজে কলমে থাকলেও তা বাস্তবে নেই। বনরেঞ্জের তথ্য মতে রক্ষিত ও সংরক্ষিত বনভূমিতে প্রায় ৫ হাজারেরও অধিক পাকা, সেমিপাকা, কাঁচা অবৈধ ঘরবাড়ি বিদ্ধমান থাকলেও বনকর্তা ব্যক্তিরা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে আন্তরিক নয়। যে কারণে বনভূমি দখল প্রবণতা আশংকা জনকভাবে বেড়েছে বলে দাবী করছেন পরিবেশবাদী সচেতন মহল।
সম্প্রতি উখিয়ার মধুরছড়া এলাকায় পরিত্যক্ত বনভূমির ৫ একর জায়গার উপর ভূমিহীন ছিন্নমূল প্রায় ১০৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়ে ইতিমধ্যে ৫০টি সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করে। রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, এঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে মিডিয়ায় অপপ্রচার শুরু করলে কক্সবাজার বনকর্তা ব্যক্তিদের টনক নড়ে। উখিয়ার সহকারি বন সংরক্ষক রেজাউল করিম জানান, বনভূমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের দায়ে বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক সরকারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বনরেঞ্জ কর্মকর্তা ইব্রাহিম মিয়া জানান, ওইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। যেকোন মুহুর্তে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা যেতেপারে।
এদিকে মাছকারিয়া ভূমিহীন সমিতির সভাপতি আব্দু শুক্কুর জানায়, ভূমিহীন শতাধিক পরিবার তাদের ৪/৫ বছরের সঞ্চয়ী আমানতের টাকায় নিজেরাই পরিশ্রম করে ছেলে মেয়ে নিয়ে মাথা গুজার জন্য একটি করে আশ্রয়স্থল নির্মাণ করেছে। তাদেরকে উচ্ছেদ করা হলে খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তিনি এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।