প্রচন্ড তাপমাত্রায় কাহিল মানুষের চাহিদাকে পুঁজি করে চড়া দামে তরমুজ বিক্রি করে অতিরিক্ত ফায়দা লুটার জন্য লাখ টাকার তরমুজ মজুদ করে ধরা খেলেন উখিয়ার মৌসুমী তরমুজ ব্যবসায়ীরা। গত ৩দিন ধরে মধ্যরাতে অকাল বৃষ্টি ও গুমোট আবহাওয়ার ফলে তরমুজের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছেনা ক্রেতারা। একাধিক ক্রেতা তাদের অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বৃষ্টিতে তরমুজের মিষ্টি নষ্ট হয়ে গেছে। তাই এখন আর তরমুজ কিনে লাভ নেই। এমতাবস্থায় তরমুজ ব্যবসায়ী তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ কিভাবে উঠাবেন তা নিয়ে দুচিন্তায় ভাবছেন।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মৌসুমকে সামনে রেখে সোনারপাড়া, মরিচ্যা, কোটবাজার, উখিয়া সদর, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী ও পালংখালী হাটবাজার স্টেশনের ফুটপাতের অহরহ তরমুজে সয়লাব হয়ে গেছে। একাধিক ব্যবসায়ী জানান, মৌসুমের শুরুতেই তারা তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন। হঠাৎ করে যে বৃষ্টি হবে তা জানা ছিল না বিধায় তরমুজ মজুদ করে বেকায়দায় পড়েছি। কুতুপালং স্টেশনের তরজুম ব্যবসায়ী হাছু মিয়া জানান, অধিক লাভের আশায় প্রায় ৫০ হাজার টাকার তরমুজ মজুদ করেছেন। গত ৩দিন ধরে মধ্য রাতের বৃষ্টিতে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এমতাবস্থায় ক্রেতারা ১শ’ টাকার তরমুজ ৩০/৪০ টাকায়ও কিনতে আগ্রহ করছে না।
উখিয়া ষ্টেশনের তরমুজ ব্যবসায়ী নুরুল আলম জানায়, সে বড় সাইজের একেকটি তরমুজ ১শ’ টাকা করে ১ হাজার তরমুজ ১০ হাজার টাকায় ক্রয় করে পরিবহন, লোডআনলোডসহ প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ধারদেনা করে বিনিয়োগকৃত এ অর্থ কিভাবে উঠাবেন তা নিয়ে দুচিন্তায় পড়েছেন। এদিকে বিভিন্ন এলাকায় এখনো ক্ষেতে হাজার হাজার তরমুজ রয়েছে। সম্প্রতি বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী সেই সাথে শিলা বৃষ্টিতে তরমুজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকদের অভিযোগ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শংকর কুমার মজুমদার জানান, বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হলেও কৃষকেরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যেহেতু বৃষ্টির আগে কৃষকদের বিনিয়োগকৃত অর্থ উঠে গেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।