দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাস্থ রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্বরত্না মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ২৮ জানুয়ারী সন্ধ্যায় বিহারাধ্যক্ষ জ্যোতি মিত্র একই গ্রামে পরিত্রাণ সুত্রপাঠ করতে গেলে ৮টার দিকে মোম থেকে আগুনের সুত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন ওই সময় বিহারে অবস্থানরত সুমেধ শ্রামণ (১২)।
অত্র বিহারের বিহার অধ্যক্ষ জ্যোতিমিত্র ভিক্ষু সূত্রে জানা যায়, পুড়ে যাওয়া বিহারে থাকা ছোট-বড় প্রায় ১০০টি মূল্যবান বুদ্ধমুর্তি, ভিক্ষুর দানীয় নগদ প্রায় ২০,০০০ টাকা, আসবাবপত্র, ২টি ল্যাপটপ, আচার-অনুষ্ঠানের প্রায় ৩০০ মানুষের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, ভান্তের ধর্মীয় গ্রন্থ সহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা।
রবিবার বিকাল ৩টায় পরিদর্শন করতে অাসেন উখিয়া টেকনাফের সাংসদ সদস্য অাব্দুর রহমান বদি এমপি। পরিদর্শনকালে এমপি বদি বলেন, পুড়ে যাওয়া পূর্বরত্না মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারটি পুন: নির্মাণের জন্য জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তুলে ধরবেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। এ সময় তিনি ভিক্ষুর পোষাক পরিচ্ছদের জন্য তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা দেন এবং উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ সাধারণ জনগণের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার কথা শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এমপি বদির পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া সার্কেল চাইলাউ মারমা, সহকারী পুলিশ সুপার কক্সবাজার সদর, সৌমিত্র চাকমা, উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: কায়কিস্লু, বাংলাদেশ ভিক্ষু সমিতি উখিয়া শাখার কার্যকরি সভাপতি এস. ধর্মপাল মহাথের, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির কক্সবাজার জেলা সভাপতি রবিন্দ্র বিজয় বড়ুয়া, রত্নাপালং ইউ.পি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী, আ’লীগ নেতা নুরুল হুদা, উপজেলা যুবলীগ সম্পাদক ঈমাম হোসেন, মধু সুদন বড়ুয়া মেম্বার সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।