শহিদুল ইসলাম:
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনশত বারটি রোহিঙ্গাদের ঝুপঁড়ি ঘর ও ৩৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক একশ কোটি টাকা। কেউ হতাহত হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, প্রতিটি বাড়ীতে গ্যাসের সিল্ডিটার রয়েছে। অধিকাংশ রোহিঙ্গারা এর ব্যবহার বিধি জানে না। তাই প্রতিনিয়ত অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। রোহিঙ্গারা এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীপন যাপন করছে।তারা আরো বলেন রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে উখিয়ার ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্হলে যান। পরে রোহিঙ্গা ও স্হানীয়দের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রন আনেন।
এ ব্যাপারে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি ই ওয়ান ব্লকের বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। অগ্নিকান্ডের পুড়ে গেছে রোহিঙ্গাদের ৩১২টি ঝুঁপটি ঘর। এরা এখন খোলা আকাশের নিচে বসে আছে।
আরেক মাঝি মাহামুদ উল্লাহ বলেন রোহিঙ্গা এখন দিশেহারা । রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানান।মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:নিকারুজ্জামান। এসময় সাথে ছিলেন উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের নয় নাম্বার ওয়ার্ডের সদস্য মৌলভি বখতিয়ার আহমদ ও কুতুপালং বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীন।
উখিয়ার কুতুপালং বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীন বলেন অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে রোহিঙ্গা ঝুঁপটি ঘর ও দোকান। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন মাষ্টার এমদাদুল হক বলেন ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ঘটনাস্হলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন আনি। এখনো পর্যন্ত আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি। এ ব্যাপারে উখিয়া থানার তদন্ত ওসি নুরুল ইসলাম অগ্নিকান্ডের সত্যতা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা মো ;নিকারুজ্জামান চৌধুরীর মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।