মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট সদস্য আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহিমের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের একদল প্রতিনিধি উখিয়ায় প্রায় শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। বুধবার সকাল ১১ টায় কুতুপালংয়ে ৫০ পরিবার, বালুখালীতে ৫০ পরিবার ও পরে টেকনাফ অনিবন্ধিত ৫০ রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রদত্ত ত্রাণের মধ্যে ২৫ প্রকারের খাদ্য সামগ্রী রয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষ) সাইফুল ইসলাম মজুমদার, রেড ক্রিসেন্টের মহাসচিব এবিএম ইব্রাহিম মাজাহারুল হক ও রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক নাজমুল আজম খান উপস্থিত ছিলেন।
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও সংস্থা শেডের তত্ত্বাবধানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি, আনসার, ডিবি, এনএসআই, ডিজিএফআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের প্রদত্ত ত্রাণবাহি জাহাজ এমভি নটিকেল আলিয়া গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করলে মালেশিয়ার রাষ্ট্রদূত নুর আফিস বিনতে ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক রোহিঙ্গাদের জন্য আনিত মালামাল আনুষ্ঠানিক ভাবেগ্রহণ করেন। পরে এসব মালামাল কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের ত্রাণ শাখায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
বুধবার মালয়েশিয়া থেকে আসা প্রায় ২৭৩ জন প্রতিনিধির মধ্যে ২৫ জন পার্লামেন্ট সদস্য, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি কুতুপালংস্থ এনজিও সংস্থা শেডের কার্যালয়ে এসে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কার্যক্রম শুরু করেন। এর আগে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে যারা নিতান্তই গরিব এমন ৫০টি পরিবারকে বাছাই করে তাদেরকে শেডের মাধ্যমে ত্রাণের কার্ড বিতরণ করা হয়।
মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল এসময় অনেকেই রোহিঙ্গা ছেলে মেয়েদের মধ্যে লজেন্স সরবরাহ করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে আদর সোহাগ করছে। এসময় পার্লামেন্ট সদস্য আব্দুল আজিজ বিন আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, তাদের আনিত ত্রাণ সামগ্রী রোহিঙ্গাদের মাঝে নিজ হাতে বিতরণ করতে পেরে খুব আনন্দিত।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।