২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

উখিয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

mamla
পেশাগত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় এক গাজী টেলিভিশনের (জিটিভি) সীমান্ত প্রতিনিধি নজির আহমদ (৪২) কে অপহরণ করে নিয়ে একটি ঘরের ভিতরে পিছমোরা বেঁধে খুটির সাথে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর ও শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছ গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মধুরছড়া ও মাছকারিয়ায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রহস্যময় স্থাপনার ছবি তুলতে গিয়ে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,  কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির সংলগ্ন মধুরছড়া ও মাছকারিয়া নামের দুর্গম অরণ্যের ভিতরে অর্ধশতাধিক অবৈধ জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রাতা-রাতি নির্মাণ করেন স্থানীয় সাংসদ আব্দুর রহমান বদির শ্যালক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বিশাল সিন্ডিকেট। প্রশাসনের নজরদারী ফাঁকি দিয়ে রহস্যজনক ভাবে গড়ে ওঠা প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা তড়িঘড়ি ও লুকোচুরি করে নির্মাণের ঘটনা ঢাকার কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হলে কক্সবাজার জেলা ব্যাপী ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে গাজী টেলিভিশনের সীমান্ত প্রতিনিধি নজির আহমদ তার সহকর্মী মোহাম্মদ জালাল মুন্না তথ্য সংগ্রহের জন্য মধুরছড়া ও মাছকারিয়া এলাকায় পৌঁছলে ২০/২৫ জনের সংঘবদ্ধ সশস্ত্র পাহারা বসানো সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে বেধড়ক পিঠিয়ে নজির আহমদ ও মুন্নাকে আহত করেন। ঘটনাস্থল থেকে কোনমতে পালিয়ে জালাল মুন্না উখিয়া থানায় এসে পুলিশের আশ্রয় চাইলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক নজির আহমদকে ছেড়ে দেয়। এসময় জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অবৈধ রহস্য জনক স্থাপনা নির্মাণকারী সন্ত্রাসীরা তার ক্যামরা, ল্যান্স, সংবাদ মেমোরী, ইসলামী ব্যাংক, আল-আরফা ব্যাং, এবি ব্যাংকে ৩ টি ব্যাংকের এটিএম /ডেবিট কার্ড, নগদ ৩৫ হাজার টাকা, ৭০ হাজার টাকার চেক লিখে নেয় এবং ২টি ডিজিটাল মোবাইল ফোন ও কেটে নেয় সন্ত্রাসীরা। উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে গভীর ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। শীঘ্রই ২/১ দিনের মধ্যে মধুরছড়া ও মাছকারিয়ায় নির্মিত অবৈধ অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। কোন মতেই রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বিনিষ্টকারী জঙ্গিদের স্থান উখিয়ায় হবে না বলে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে জানান। উলে¬খ্য, অনেকেরই জোর সন্দেহ, বিদেশী অর্থায়নে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ প্রসারের লক্ষ্যেই সরকারী বন ভূমি দখল করে স্বশস্ত্র পাহারায় রোহিঙ্গা শিবিরের পাশেই দীর্ঘ এ অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। নির্মাণকালে সশস্ত্র পাহারা বসানো হলো কেন? কেনই বা লুকোচুরি, তড়িঘড়ি? এসব ঘটনায় নির্মিত রহস্যময় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নিয়ে সংশি¬ষ্ট প্রশাসনকে ভাবিয়ে তোলার পাশা-পাশি বিষয়টি নিয়ে জঙ্গি বিরোধী বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তি ও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।