কক্সবাজারের উখিয়া উপকূলের অদুরে সমুদ্রে সশস্ত্র জলদস্যুরা তান্ডব চালিয়ে একটি ফিশিং বোট লুটপাঠ করে মাঝি মাল¬াদের গুরুতর আহত অবস্থায় হাত-পা বেঁেধ সাগরে ভাসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় জেলে ছৈয়দ আলম মাঝি সাগরে মাছ ধরে কূলে ফেরার পথে রোববার সকাল ৭ টার দিকে উখিয়ার মনখালী উপকূলের অদুরে সাগরে জলদস্যুরা এ তান্ডব চালায়। জলদস্যুরা ফিশিং বোটের ইঞ্জিন, মাছ ধরার জাল, আহরিত মাছ সহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। জলদস্যুদের প্রহারে আহত ৬ মাঝি মাল¬াহ গুরুতর অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জান গেছে।
উখিয়া থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা গেছে, উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর সোনারপাড়া গ্রামের ফরিদ আলমের মালিকানাধীন একটি ফিশিং বোট শুক্রবার সন্ধ্যায় সাগরে মাছ শিকার করতে যায়। ফিশিং বোটের মালিক ফরিদ আলম বলেন, দুই দিন সাগরে মাছ আহরন করে রোববার সকালে কূলে ফেরার পথে একই ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের আক্তার মিয়া, মোঃ আলম মাঝি ও পশ্চিম সোনারপাড়ার রুবেলের নেতৃত্বে ১৪/১৫ জনের সশস্ত্র জলদস্যুরা গোলাগুলি করে আমার বোটের মাঝি মাল¬াদের জিম্মি ও প্রচন্ড মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় হাত-পা বেঁেধ বোটে ফেলে রাখে। এসময় জলদস্যুরা আহরনকৃত বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৭ মণ মাছ, মাছ ধরার বড় জাল, বোটের মেশিন, জ্বালানী সহ অন্যান্য প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিনিয়ে নেয়। রোববার সকাল ১০ টার দিকে স্থানীয় লোজনের সহায়তায় ভাড়া করা বোট নিয়ে সাগরে ভাসমান অচল বোট সহ বেঁধে রাখা আহত জেলে ফরিদ আলম মাঝি(৩২), বাবুল (২৭), শহিদুল¬াহ (২০), মদন আলী (১৮), রমজান আলী (২৮)কে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হচ্ছে। উলে-খ্য সোনাইছড়ি গ্রামের আকতার মিয়া (৩২)র মালিকানাধীন ফিশিং বোট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মোহাম্মদ আলম মাঝি (৪২) ও রুবেল (৩৫) সমূদ্র পথে মালয়েশিয়ায় মানবপাচার ও সাগরে জলদস্যুতা করে যাচ্ছে। উলে¬খিত জলদস্যু ও মানবপাচাকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে বলে থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।