বিশেষ প্রতিবেদক : রামু ও উখিয়ার সিএনজি চালক সমিতির অভ্যন্তরিণ দ্বন্ধের জের ধরে প্রহারে শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ শাহ আলম খুনের ঘটনা এক সপ্তাহ হলেও এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। এই নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীর মাঝে চরম চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। শ্রমিক সংগঠনের নেতারা দ্রæত সময়ের মধ্যে খুনি চক্রকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
মরিচ্যা-খুনিয়াপালং ফোরস্ট্রোক সিএনজি চালক ও টমটম মালিক শ্রমিক কল্যান সমবায় সমিতির সভাপতি মো. হাসেম জানান, তাদের সমিতির কোন গাড়ি রামু স্টেশন কিংবা অন্য মোকামে ভাড়া নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে অন্য কোথায় যাওয়ার জন্য যাত্রি তুলতে পারে না। কিন্তু রামু সিএনজি চালক সমিতির গাড়ি মরিচ্যা-খুনিয়াপালং বা অন্য মোকামে যাত্রি নিয়ে গিয়ে নামিয়ে সেখান থেকে অন্যযাত্রি নিয়ে সব জায়গায় যায়। এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকমাস ধরে তাদের দু’সংগঠনের মাঝে ¯œায়ুযুদ্ধ চলে আসছে। এরই জের ধরে শুক্রবার রামু সিএনজি চালক সমিতির নেতারা মরিচ্যা-খুনিয়াপালং সমিতির বেশ কয়েকটা সিএনজি রামুতে আটকে রাখে। খবর পেয়ে মরিচ্যা এলাকায় আসা রামু সমিতির কয়েকটি গাড়ি আটকে দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মরিচ্যা বাজার এলাকায় রামুর একটি সিএনজি যাত্রি নিয়ে এলে খবর পেয়ে মরিচ্যা-খুনিয়াপালং সমিতির নেতারা তা আটকাতে যায়। তখন ঐ সিএনজি চালকের পক্ষ হয়ে শ্রমিকদের সাথে কথা কাটাকাটি করছিলেন যাত্রি হয়ে আসা তরকারি ব্যবসায়ী আলমগীর। সংগঠনের নেতা হিসেবে সেখানে যান ড্রাইভার শাহ আলম। তিনি তর্ক থামাতে মাঝ খানে দাঁড়ালে যাত্রি আলমগীর হাতে থাকা তরকারি পরিবহণের কাঠ দিয়ে তাকে আঘাত করে। স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রহারের পরও তিনি চলে যান। ঘটনায় গুরুতর আহত শাহ আলমকে স্থানীয় কোটবাজার হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি রাত ১২ টার দিকে মারা যান।
তিনি আরো জানান, শাহ আলমের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তার স্ত্রী বাদি হয়ে ঘাতক আলমগীকে প্রধান আসামি করে তিন জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। নিহত মো. শাহ আলম ড্রাইভার (৪০)। তিনি খুনিয়াপালং পূর্ব ধেছুয়ার বানিয়ার দোকান এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে ও মরিচ্যা-খুনিয়াপালং ফোরস্ট্রোক সিএনজি চালক ও টমটম মালিক শ্রমিক কল্যান সমবায় সমিতির ফেব্রæয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের বলেন, হত্যাকারিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।