স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক প্রণীত সরকারি হাটবাজার সমূহের ইজারা পদ্ধতি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুসারে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন ১৪২২ বাংলা সনের সকল হাটবাজার ইজারা প্রক্রিয়া শুরু করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে সক্রিয় হয়ে উঠে স্থানীয় হাটবাজার ইজারাদার সিন্ডিকেট। ১০/১২ জনের ৪/৫টি গ্রট্টপ এসব ১০টি হাটবাজার সমঝোতার মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৌশলে নিলাম ডাক হাতিয়ে নিয়ে তা চড়া দামে হাত বদল করায় উপ-ইজারাদাররা সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ক্রেতা-বিক্রেতারদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দফায় দফায় অভিযোগ করলেও তা কোন কাজে আসছে না।
সোনারপাড়া বাজারের সুপারি ব্যবসায়ী আমির হামজা, পান ব্যবসায়ী নুুরুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, এ বাজারটি একসনা সরকারি ইজারামূল্য ১৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও সিন্ডিকেট ইজারাদার ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যে বাজারের ইজারা নিয়ে তা পরে হাতবদল করছে। এভাবে কয়েকদফা হাতবদল হওয়ার পর উক্ত বাজারের ইজারামূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। এ হাতে সরকারি রাজস্ব ফাঁকির পাশাপাশি ওই টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বাজার নিলাম ডাককারী লেলিয়ে দেয়া একটি চক্র ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে। একই ভাবে কোর্টবাজারের সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৬শ’ ৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও সিন্ডিকেট ওই টাকায় বাজার ইজারা গ্রহণ করে তা পর পর কয়েকদফা হাতবদল করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
পক্ষান্তরে কমান্ডো স্টাইলে টোল আদায়ের নামে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আর্থিক ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। উখিয়া বাজারের ব্যবসায়ী শাহাব উদ্দিন, পরিমল সেনসহ একাধিক লোকজন জানান, বাজার ইজারাদার উপ-ইজারার মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনকে মোটা অংকের টাকায় হাতবদল করার কারণে তারা ওই বাজারটি সংরক্ষণ করছে না। যে কারণে বাজারের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেনাকাটা করতে হচ্ছে। স্থানীয় ক্রেতা মালভিটাপাড়া গ্রামের হাজী আব্দুল মান্নান সহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করে জানায়, বাজারের নালা-নর্গমাসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা বর্জ্যের দূর্গন্ধে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠলেও বাজার ইজারাদার এনিয়ে কোন ব্যবস্থা নেয় না। উখিয়ার বিভিন্ন হাটবাজারে ভয়াবহ পরিণতি থেকে রক্ষার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) উখিয়া উপজেলা সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিকদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগ করেছে। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস জানান, হাটবাজারের এসমস্ত অনিয়মের ব্যাপারে কেউ কোনদিন অভিযোগ করেনি বিধায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।