পলাশ বড়ুয়া:
কক্মবাজারের উখিয়ায় নিয়ম না মেনে গরুর নিলামের অভিযোগ উঠেছে বালুখালী কাস্টম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে দরপত্র আহবান কিংবা মাইকিং না করে রাতের আধাঁরে গোপনে সিন্ডিকেট সদস্যদের সাথে আতাঁত পূর্বক তড়িগড়ি করে নিলাম সম্পন্ন করেছে এমনটি অভিযোগ তালিকাভূক্ত ঠিকাদারদের। তাদের দাবী অনিয়ম করে অসাধু কর্মকর্তারা লাভবান হলেও সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে গত ১৩ জুন রাতে বালুখালী কাস্টম অফিসে ১৭টি গরু নিলাম হয়েছে মাত্র ৩ লক্ষ টাকায়।
পালংখালী ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা শাহদাৎ হোসেন জুয়েল বলেন, সংশ্লিষ্টদের ভাগ-বাটোয়ারার মাধ্যমে এসব হচ্ছে।
গণমাধ্যমকর্মী ইমরান খান বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজসে বালুখালী কাস্টমস এ ১৭টি গরু নিলাম দিয়েছে মাত্র ৩ লাখ টাকায়। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টম অফিসের কয়েকজন তালিকাভূক্ত ঠিকাদার অভিযোগ করে জানিয়েছে কাস্টমস অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা জনৈক ঠিকাদারের সাথে গোপনে আতাঁত করে গরু গুলোর নিলাম সম্পন্ন করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালুখালী কাষ্টমস কর্মকর্তা অজিত রুদ্র বলেন, গরু গুলো দুই দিন পর খাদ্য এবং রাখার জায়গা সংকটের কারণে দ্রুত নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়েছে। ৩০জন নিলামে অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতিতে সর্বোচ্চ দরদাতা করিম এন্টারপ্রাইজকে ভ্যাটসহ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকায় গরু গুলো নিলামে বিক্রি করা হয়। তাছাড়া টেকনাফের রাজস্ব কর্মকর্তা সব্যসাচী ও বিভাগীয় উপ-কমিশনারের অনুমতি নিয়ে নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।