উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে ৪৩ জনের একটি সিন্ডিকেট মালয়েশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচার করে আসছে। গত ৪ বছরে ১৫ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ায় পাচার হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। গতকাল রোববার অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে ৩ ব¬কের রোহিঙ্গা নুরুল ইসলাম, ইয়াকুব আলী, কালা চাঁন সহ ৩০ জন রোহিঙ্গা টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ মানবপাচারের ঘাঁট দিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
জানা গেছে, কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিবন্ধিত ১৩ হাজার ১শ’ ৭৯ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। পার্শ্ববর্তী বনভূমির জায়গা দখল করে ঝুঁপড়ি বেধে বসবাস করছে আরো প্রায় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচারের প্রলোভন দেখিয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের চলে আসতে ইন্ধন জোগাচ্ছে ওই সব পাচারকারী সিন্ডিকেট। যে কারণে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার ক্যাম্পের এবং এনজিও সংস্থা ইউএনএইচসিআরে কর্মরত মুস্তফা, আফ্রেজা বেগম, আবু ছিদ্দিক, মুহাম্মদ নুর, ফকিরার মা, ছৈয়দ আলম মাঝি, উসমান, মিনহাজ ও নুরুল হুদা মিলে একটি ৪৩ সদস্যের মানবপাচার সিন্ডিকেট গঠন করে প্রতিনিয়ত মালয়েশিয়ায় উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মানবপাচার করে আসছে। অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তি ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সেক্রেটারী মাস্টার রাকিব উল¬াহ জানান, গত ৪ বছরে নিবন্ধিত অনিবন্ধিত ১৫ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা মালয়েশিয়া চলে গেছে দালালের হাত ধরে। কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ সরওয়ার কামাল জানান, যেসব রোহিঙ্গারা অনুপস্থিত থাকবে ইউএনএইচসিআর এর মাধ্যমে ওইসব রোহিঙ্গাদের নাম রেশন বুক থেকে কর্তন করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।