উখিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে ঘুষ বাণিজ্য থেমে নেই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ভূমি অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের কর্মকান্ড। ঘুষ বানিজ্য সামাল দিতে কানুনগো, তহসিলদার অফিস সহকারী শেখ আহমদ মিলে ডজন খানেক কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে। তাদের মাধ্যমে ওই সব কর্মকর্তারা কাজ করতে আসা লোকজনরে কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কবে হবে ভূমি অফিসের ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ।
বিভিন্ন সুত্রে প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, উখিয়ার সহকারী ভূমি অফিসের অফিস সহকারী শেখ আহমদ, কানোনগো মনোহরী সুশীল এর নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ভূমি অফিসকে দূনীতির আখড়াই পরিণত করেছে। এ সিন্ডিকেট লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নিরহ লোকজন থেকে। মাসের পর মাস নামজারী খতিয়ানের আবেদন পড়ে রয়েছে অফিসের টেবিলে। টাকা না দিলে লাল ফিতায় বন্ধি থাকে আবেদনের ফাইল।
জানা যায়, নামজারী খতিয়ান করতে পক্ষ-বিপক্ষকে নোটিশ প্রদান করে তদন্ত করা হয়। কিন্তু ভুমি অফিসের ঐসব দূর্নীতিবাজরা বিনা তদন্তে লাখ লাখ টাকা নিয়ে নামজারী খতিয়ান করে দিচ্ছে। আর যার থেকে কম টাকা পাবে তাদের বিরুদ্ধে নোটিশ দিয়ে আপত্তি লিখিয়ে খতিয়ান করার কাজ বন্ধ রাখছে। জালিয়া পালং ইউনিয়নের ই্নানী গ্রামের কবিরুল ইসলাম, মনখালীর সলিম উলাহ, সুলতান আহামদ, আব্দুর রশিদ, হলদিয়া পালং এর আব্দুল গফুর, রাজাপালং ছৈয়দুল করিম, জানান, ভূমি অফিসে কর্মরত কর্মচারীদের বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে ও তাদের কাজ এখনো সমাপ্ত করতে পারেনি। ঐ সব কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীদের জানিয়েছেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এইচএম মাহফুজুর রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে উক্ত সিন্ডিকেট ভূমি অফিসে আসা জনগনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অভিযোগ উঠেছে একটি নামজারী খতিয়ানের পেছনে ১ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগে। সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, প্রতিদিন অফিস সহকারী ও কর্মকর্তাদের রয়েছে আলাদা কর্মচারী। তাছাড়া অফিস সহকারী শেখ আহমদ একাই নিয়োগ দিয়েছেন তার অধিনে ৩ জন কর্মচারী। এরা সবাই শেখ আহামদকে ঘুষের টাকা যোগান দেয়। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে থেকে উখিয়া থাকার সুবাধে এ কর্মকর্তা রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সবার সাথে একপ্রকার ভাব বিনিময় করে চলেন। এছাড়াও ভূমি অভিসের আশেপাশে বহিরাগত বেশ কয়েকজন দালাল প্রতিনিয়ত চাকুরীর নামে উখিয়া সদর তহসিল অফিসে বসে এসব অপকর্মে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। উখিয়া ভূমি অফিসের কিছু দুনির্তীবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের কারনে উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের লোকজন হচ্ছে সর্ব শান্ত।। এ পর্যন্ত উখিয়ার ইনানী মৌজা সহ বিভিন্ন মৌজার কমপক্ষে আড়াই হাজারের অধিক নামজারী খতিয়ান হয়েছে বলে জানা গেছে। ঐ সব খতিয়ান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে অসাধু কর্তা ব্যক্তিরা। আর এমন কোন দিন যাচ্ছে না নামজারী খতিয়ান করতে গিয়ে দালালদের মধ্যে বাক বিতন্ডা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এইচএম মাহাফুজুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নাম ভাঙ্গিয়ে অথবা কারো কাছ থেকে ঘুষ গ্রহন করেছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে ঔসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।