উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহাদ ইসলামকে অপহরণের ঘটনায় নিরীহ এক ব্যক্তিকে আসামী করে হয়রানী করে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর ১ মাস ৩ দিন পর পাবনা থেকে র্যাব অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধারের সময় অপহরকারী চক্রের সদস্য নুর আয়েশা প্রকাশ (মুন্নী) কে আটক করতে সক্ষম হয়। উক্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পশ্চিম মরিচ্যা মৃত আলী আহম্মদের পুত্র মোহাম্মদ হোসাইনকে জড়িয়ে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি পক্ষ ব্যক্তিগত স্বার্থহাছিল করছে বলে মোহাম্মদ হোসাইন অভিযোগ করেন।
উক্ত ঘটনায় জাহেদুর ইসলাম সাদ্দাম বাদি হয়ে উখিয়া থানায় নুর আয়েশা প্রকাশ (মুন্নি) সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে ৪/৫ জন অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় মূল এজাহারে মোহাম্মদ হোসাইনের নাম না থাকা সত্ত্বেও অভিযোগ পত্রে তাকে আসামী দেখিয়ে অভিযোগ পত্র প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে কক্সবাজার বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজষ্ট্রেট আমলী আদলত ২, পুনরাই তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করে ও আটককৃত অপহরণের মূল আসামী মুন্নি জেল হাজতে রয়েছে। উক্ত চাঞ্চল্যকর মামলাটি বর্তমানে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ এর এস.আই ফারুক ইসলাম এর নিকট তদন্তদীন রয়েছে। এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের এস.আই ফারুক ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্ত মামলাটি তদন্ত করে শীঘ্রই প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, অন্যায় ভাবে কাউকে জড়িয়ে হয়রানী করা হবে না। নিরহ মোহাম্মদ হোসাইন এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গত ফাহাদ গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্কুলে আসার পথে শিশু শিক্ষার্থী ফাহাদ অপহরণের শিকার হয়। অপহরণের ঘটনায় উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ, কক্সবাজর জেলা পুলিশ সুপারসহ র্যাবের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ অবগত রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।