৩১ মার্চ, ২০২৫ | ১৭ চৈত্র, ১৪৩১ | ১ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী   ●  উখিয়ার বরণ্য রাজনৈতিক মৌলভী আবদুল হকের ১৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২০ মার্চ   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার সিজন-১ এর ফল প্রকাশিত   ●  মিরসরাই প্রেসক্লাবের ইফতার ও সুধী সমাবেশ   ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!

উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

মোহাম্মদ সোহেল সিকদার রানাঃ

উখিয়ার সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজকর্মী নজরুল এর পরিচয় ব্যবহার করে মোবাইলে মনোয়ারা নামের এক বিধবা ভাতাভোগীর সরকারী অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২২ মার্চ) বিকালে মনোয়ারা নামের এক ভাতাভোগী কে (+8801856285369) রবি অপারেটরের নাম্বার ব্যবহার করে মোবাইলে কল দিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজকর্মী নজরুল ইসলাম নামীয় পরিচয় দিয়ে বলেন, “আপনার নামে আপনার ইউনিয়ন পরিষদে ২৫কেজি চাল,৫কেজি সয়াবিন তেল,২কেজি ছোলা, ২কেজি মসুরের ডাল, ২কেজি চিনি আসছে যা আপনি বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন”
এছাড়াও সরকারি আরও বিভিন্ন সেবার প্রলোভন দেখিয়ে বলা হয়, আপনার মোবাইলে একটি ৬ ডিজিটের এসএমএস যাচ্ছে ওই ৬ডিজিটের নাম্বারটি একটু বলেন সরকারী সেবাগুলো গ্রহণ করার জন্য আপনার টোকেন কনফার্ম করতে হবে”
পরবর্তীতে গ্রামের বিধবা মনোয়ারা বেগম প্রতারক চক্রের দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথায় (OTP) দিতে বাধ্য হয় সাথে সাথে অসহায় মনোয়ারা বেগমের একাউন্ট প্রতারক চক্র নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং গায়েব হয়ে যায় ১৬০০ টাকা।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজকর্মী নজরুল ইসলাম জানান, যে নাম্বারটি কল দিয়েছে সে নাম্বার টা আমার নই, এবং সেই কন্ঠ (ভয়েস) টা ও আমার না, এবংআমার পরিচয় দেওয়া লোকটি প্রতারক চক্রের কেউ হতে পারে। আমরা ভাতাভোগী দের প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ করে থাকি।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আল-মাহমুদ হোসেন জানান, প্রতারক চক্রের সদস্য’রা আমাদের সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নাম পরিচয় ব্যহার করে তারা নানাভাবে সহজ সরল ভাতাভোগী’দের নানা প্রলোভন দেখিয়ে সরকারী অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। আমারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করে সতর্ক করে থাকি, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মচারীর নাম ব্যবহার করে যোগাযোগ করলে যেন সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করে এবং গোপনীয় (OTP) কেউকে না দেয়ার অনুরোধ করি। উপকারভোগীদের তথ্য প্রতারক চক্রের হাতে পৌঁছে কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা আল মাহমুদ জানান, এটি হচ্ছে টেকনিক্যাল বিষয়, এটা আমাদের জানার সুযোগ নাই, তাদের কাছে কীভাবে গেছে, আপনি তাদের ভাষা গুলো বুঝেন যে কোন এলাকার ভাষা। এগুলো নিয়ে ভাতাভোগী’দের সতর্ক করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার সুযোগ নেই। কারণ এগুলো নিয়ে সারাদেশে প্রতারক চক্রের সদস্যরা টাকা হাতিয়ে নেয়।
এছাড়াও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করবেন বলেও জানান তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।