২৮ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

উত্তম বড়ুয়া রামু হামলার পাঁচ বছরেও নিখোঁজ

হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী: কক্সবাজারের রামুতে যে ব্যক্তির ফেসবুক একাউন্টকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বৌদ্ধদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়েছিলো, সেই উত্তম বড়ুয়া ঘটনার পর থেকে গত পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ। উত্তম বড়ুয়া কোথায় আছে সে সম্পর্কে
পরিবার এবং পুলিশের কাছে পরিষ্কার কোন তথ্য নেই। উত্তম বড়ুয়ার স্ত্রী রিতা বড়ুয়া সন্দেহ করেছেন তার স্বামীকে হয়ত মেরে ফেলা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে কোনো চিঠি বা টেলিফোন তিনি পাননি। তিনি বলেন, “আমার ধারনা ওনাকে কেউ মেরে ফেলেছে। না হয় উনি তো ফোন করতেন আমাদের।”
অন্যদিকে পুলিশের ধারনা উত্তম বড়ুয়া আত্মগোপনে রয়েছেন। তাকে খোঁজা হচ্ছে এবং তদন্তকারীরা আশা করছেন তাকে পাওয়া যাবে। উত্তম বড়ুয়া তার ফেসবুক
একাউন্টে কোরআন শরিফ অবমাননা করেছেন- এই কথা ছড়িয়ে দিয়ে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অনেক বাড়িঘর মন্দিরে হামলা চালানো
হয়। উত্তম বড়ুয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় তাকে প্রধান আসামি করে অভিযোগপত্রও দেয়া হয়েছে।
যে ফেসবুক একাউন্টের বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল সেটি নিখোঁজ উত্তম বড়ুয়ার ফেসবুক একাউন্ট হিসেবে নিশ্চিত হয়েছে তদন্তকারীরা।
তবে অবমাননার ছবি তিনি নিজে আপলোড করেছেন, নাকি অন্য কেউ তাকে ট্যাগ বা যুক্ত করেছে সে বিষয়ে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হতে পারেননি।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন অনেক চেষ্টা করেও তারা সেই একাউন্টের বিস্তারিত জানতে পারেননি। উত্তম বড়ুয়ার বিষয়ে পুলিশ আত্মগোপনের কথা বললেও তাকে খুঁজে বের করার বিষয়ে পুলিশের চেষ্টা নেই বলে অনেকে মনে করেন। আমাদের রামু ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, তাকে খুঁজে পাওয়াটা জরুরী। তিনি বলেন, “চেষ্টা করা হলে তাকে আবিষ্কার করা যাবে না আমি তা মনে করিনা।”

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।