সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় একটি দুঃস্থ পরিবারও অনাহারে থাকবে না। এদেশের দারিদ্যপীড়িত জনগোষ্ঠির ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্যই আমাদের রাজনীতি। বাংলার প্রতিটি মানুষের আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য ও বস্ত্র নিশ্চিত করতে কাজ করছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। কাজেই একটি দুঃস্থ অসহায় পরিবারও না খেয়ে থাকবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে টেলিফোনে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
জেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে জেলার নেতৃবন্দৃ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অংশগ্রহণ করেন। আর রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে টেলিফোনে অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রবীণ রাজনীতিক তোফায়েল আহমেদ।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ভাতের কষ্ট, কাপড়ের কষ্ট, মাথা গোঁজার ঠাঁই, শিক্ষা ও চিকিৎসার অভাব থাকার কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা, ভুখানাঙ্গাদের কথা চিন্তা করেছিলেন। জাতির পিতা বলেছিলেন ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে’-এটাই আমার জীবনের স্বপ্ন। ’
সাবেক এই বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছেন। করোনার এই কান্তিকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।
অন্যদিকে দেশে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ভোলা-১ আসনের এমপি তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৮ হাজার পরিবারকে আসন্ন রমজান মাসে দুই দফা খাদ্য সহায়তা দেব। এজন্য সঠিক দুঃস্থদের তালিকা করুন। ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়া হবে। ভোলায় একজনও অনাহারে থাকবে না।
তিনি বলেন, করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ভোলার অসহায়-দুঃস্থ পরিবারগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। আমি নিজে দিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুল এবং ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন সর্বাক্ষণিক মাঠে থেকে নিজস্ব অর্থায়নে প্রচুর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। অন্যদিকে সরকারিভাবে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমেও ত্রাণ দেয়া হচ্ছে।
জেলা পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গোলদারসহ ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।
জেলার স্থানীয় নেতারা ভোলা-১ আসনের এমপিকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর দিক-নিদের্শনায় এলাকার দুঃস্থ অসহায় মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই হস্তান্তর করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।