ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অণুজীব বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধারার মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। কৃষি, শিল্প, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খাতের আধুনিকায়নে জীববিজ্ঞান গবেষণাকে আরও গতিশীল করতে হবে। বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে করতে হবে।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ অণুজীব বিজ্ঞানী সমিতির ৩০তম বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসবকথা বলেন। ‘টেকসই উন্নয়নে অণুজীব বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা’ প্রতিপাদ্য ধারন করে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সম্মেলন উদ্বোধন করেন। সভাপতিত্ব করেন ৩০তম কনফারেন্স অরগানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান।
সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: ইমদাদুল হক বিশেষ অতিথি এবং এ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার এবিএম জামাল উদ্দিন সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মেধাবী শিক্ষার্থীর জঙ্গিবাদে সংযুক্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, মূল্যবোধের অভাবেই শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে। তাই শ্রেণিকক্ষে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।
তিনি বলেন, অণুজীব বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সকল শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের মাঝে মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তোলা। নৈতিক মূল্যবোধ ছাড়া কোন শিক্ষাই মানবকল্যাণ সাধন করতে পারে না।
ড. ইমদাদুল হক বলেন, এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে মাইক্রোবায়োলজির উপাদান নেই। কৃষিক্ষেত্রে এটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কৃষিক্ষেত্রে এখন আমরা উন্নতি করছি, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে মাইক্রোবায়োলজির উন্নতির ফলে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।