২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

এক অধরা স্বপ্ন পূরণের পথে সাকিব-তামিম-মুশফিকরা

ক্যারিয়ারের ১০ বছরেরও বেশি সময় পার করে ফেলেছেন তারা। বাংলাদেশ দলের পঞ্চ পাণ্ডব বলে পরিচিত পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাকিদের কথা না হয় নাই বলা হলো। কারণ, বাকিরা সবাই তরুণ।

সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে মাশরাফি বিন মর্তুজার টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে ২০০৯ সালে। তিনি এখন আর টেস্ট খেলেন না। টি-টোয়েন্টিও ছেড়ে দিয়েছেন চলতি বছর শ্রীলঙ্কা সফরের পর থেকে। এখন খেলেন শুধু ওয়ানডে। এই ফরম্যাটে দলের অধিনায়কও তিনি।

তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে একমাত্র মাশরাফি বিন মর্তুজারই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। দলের বাকি আর কোনো ক্রিকেটারেরই এই সৌভাগ্য হয়নি। সাকিব, তামিম, মুশফিক কিংবা মাহমুদউল্লাহ- এই চার সিনিয়র ক্রিকেটারের সবাই ১০ বছরের বেশি ক্যারিয়ার পার করে ফেলেছেন; কিন্তু তাদের ভাগ্যে জোটেনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলার।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া সফর করতে গিয়ে ২০০৩ সালে দুটি এবং ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফরে এসেছিল- খেলেছিল দুই টেস্ট। মাশরাফির সৌভাগ্য হয়েছিল চারটি টেস্ট ম্যাচই খেলতে। যদিও চার টেস্টে মাত্র ৫ ইনিংসে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।

২০০৯ সালে চট্টগ্রাম টেস্টের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আর খেলা হয়নি বাংলাদেশের। বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের ২০০৫ সালে টেস্ট অভিষেক ঘটলেও ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টেই তিনি খেলার সুযোগ পাননি। গ্লাভস হাতে বাংলাদেশের হয়ে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট।

সাকিব, তামিমেরও প্রায় কাছাকাছি সময়ে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেলেও সাদা জার্সিতে অসিদের বিপক্ষে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি।

২০০৬ সালের পর, গত ১১ বছরে একবারের জন্যও কোনো বাংলাদেশি অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের বিপক্ষে টস করতে নামার সুযোগ পাননি। যে সিরিজটি খেলতে অস্ট্রেলিয়া আগামী ১৮ আগস্ট বাংলাদেশে আসছে, এই দুটি টেস্ট খেলার নির্ধারিত সূচি ছিল ২০১১ সালে। সেবার অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে খেলেই বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছিল। টেস্ট খেলবে বলেছিল পরে।

সেই সিরিজটি মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় ২০১৪ সাল থেকে। কিন্তু নানা অজুহাতে অস্ট্রেলিয়া শুধু সিরিজটি পিছিয়েছে। শেষ পর্যন্ত এবার তারা রাজি হয়েছে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি খেলতে ঢাকায় আসার। যদিও তা নিয়ে ছিল অনেক শঙ্কা। সব শঙ্কা কেটে গিয়ে আগামী ১৮ আগস্ট ঢাকায় আসছে অস্ট্রেলিয়া। ২৭ আগস্ট মিরপুরে স্টিভেন স্মিথের বিপক্ষে টস করতে নামবেন মুশফিকুর রহীম।

এরই মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটারদের, বিশেষ করে সাকিব-তামিম-মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহর অধরা স্বপ্ন পূরণ হবে। বৃত্ত পূরণ হবে তাদের, প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে খেলার।

আজ অধিনায়ক মুশফিকের কণ্ঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে না পারার সেই আক্ষেপই যেন ফুটে উঠেছিল, ‘অবশ্যই রোমাঞ্চিত যে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলব। সব দলের সঙ্গেই খেলা হয়েছে, শুধু অস্ট্রেলিয়া বাকি ছিল। এবার অনেক বড় সুযোগ আমাদের সামনে। শুধু আমার জন্য নয়, আমাদের দলের পুরো দলের জন্যও। এখন যারা খেলছে, তাদের মধ্যে কেবল মাশরাফি ভাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছেন অনেক দিন আগে। সবাই জানে, চ্যালেঞ্জটা অনেক কঠিন; কিন্তু আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে, অস্ট্রেলিয়ার সামনে ম্যাচটাকে কঠিন করে তুলতে পারবো। যেটা ইংল্যান্ডকে দিতে পেরেছি।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।