টেকনাফ সীমান্তে পুলিশ-বিজিবি-কোষ্টগার্ড গেল মাসে তথা এপ্রিল মাসে অভিযান চালিয়ে ৭লক্ষ ২২হাজার ৮শ ৬০পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য ২৩কোটি ৭৮লক্ষ ৩৩হাজার ২শ টাকা বলে জানাগেছে। এর বিপরীতে ৪৯টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এসময় ৪৮জন আসামীকে হাতে নাতে আটক করেছে প্রশাসন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুলিশ এপ্রিল মাসে ১লক্ষ ৬হাজার ৪শ ১৪পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। ৩কোটি ১৯লক্ষ ২৪হাজার ২শ টাকা মূল্যের উক্ত ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় ২০টি মামলা দায়ের করা হয়। এসময় ২৭জন লোককে হাতে নাতে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে বিজিবি জওয়ানেরা গেল মাসেও (প্রতি মাসের মতই) ৫ লক্ষ ১১হাজার ৫৭০পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। যার মূল্য ১৫কোটি ৩৪লক্ষ ৭১হাজার টাকা। এসময় ২১জনকে আটক করা হয়েছে এবং ৩জনকে পলাতক আসামী করে ২৯টি মামলা রুজু করা হয়েছে। কোষ্টগার্ড পুরো মাসে ৫কোটি ২৪লক্ষ ৩৮হাজার টাকা মূল্যের ১লক্ষ ৪হাজার ৮শ ৭৬পিচ পরিত্যক্ত ইয়াবা উদ্ধার করেছে। ইয়াবা আটকে প্রশাসন হার্ড লাইনে চলে যাওয়ায় এলাকায় ফিরে আসা মাদক ব্যবসায়ীরা আবারও আতংকিত হয়ে পড়েছে। গডফাদাররা বিকল্প পন্থায় গ্রামে-গঞ্জে বীরদর্পে এব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এবারে তারা লবণের ট্রাক, সিএনজি, রিকসা ও টমটম গাড়ীকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করছে বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। স্থানীয়রা ইয়াবাকে শুণ্যের কোটায় নিয়ে আসতে পাচারে জড়িত কিছু গ্রামীণ রিকসা, সিএনজি, ও টমটম গাড়ীতে তথ্য ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করার জোর দাবী জানান। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, ইয়াবার বিরুদ্ধে আমি জিহাদ ঘোষণা করেছি। ইয়াবা শুন্যের কোটায় নিয়ে আসতে এ জিহাদ অব্যাহত থাকবে। ৪২বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আবু জার আল জাহিদ জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার অভিযান কখনো বন্ধ হয়নি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। টেকনাফকে ইয়াবা মুক্ত করতে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও আন্তরিকতার সহিত টেকসই ভূমিকায় এগিয়ে আসতে হবে। টেকনাফস্থ কোষ্টগার্ডের ষ্টেশন কমান্ডার কাজী ফরিদুজ্জামান জানান, মাদকের ব্যাপারে কারো সাথে কিছুতেই কোন প্রকার আপোষ করা হবে না। টেকনাফকে মাদকমুক্ত করতে এব্যবসায় জড়িতেদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনিক অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।