২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

এখনও প্রাণ ভিক্ষা চাননি মুফতি হান্নান

 


হরকাতুল জেহাদ নেতা মুফতি হান্নান এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাননি। গত ২২ মার্চ তাকে রায় পড়ে শোনানো হয় এবং ২৩ মার্চ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তার মৃত্যু পরোয়ানা পাঠানো হয়। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, ২২ মার্চ থেকে মুফতি হান্নানের প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার দিন গণনা শুরু হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত তার আইনজীবী বা পরিবারের কোনও সদস্য কারাগারে আসেননি। এমনকি কারাগার থেকে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করতেও কোনও প্রতিনিধি আসেননি। তার আচরণ এবং খাওয়া দাওয়াও স্বাভাবিক।

প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জেহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসির রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজের রায়ের অনুলিপি পৌঁছেছে। পরদিন ২২ মার্চ বুধবার সকালে তা পড়ে শোনানো হয়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ২০১৩ সাল থেকে কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তবে এখান থেকে হাজিরা দেওয়ার জন্য তাকে দেশের বিভিন্ন আদালতে নেওয়া হয়।

১৯ মার্চ রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) খারিজ করে দেন। সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা ও তিনজন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। প্রায় সাত বছর পর গত বছরের ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাই কোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ঢাকায় সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ও ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে রয়েছেন।

সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।

ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

হাই কোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত বছরের ২৮ এপ্রিল প্রকাশিত হয়। ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন আপিল না করলেও আপিল বিভাগ তার জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করে।

আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়। গত ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।