নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফের অপহরণ আতংকে টেকনাফ। গতকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা টেকনাফ সীমান্ত পরিদর্শনের সময় ১৭ জনকে অপহরণের পরেরদিন টেকনাফ থেকে আরও ৭ জনকে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক থেকে পাহাড়ী ঢালা পার হওয়ার সময় দুইটি সিএনজির চালকসহ ৭ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। তবে অপহৃত ৭ জনের নাম-ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ৭ টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং -শামলাপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
শামলাপুর সিএনজি অটোরিকশার লাইনম্যান আব্দুর রহিম জানান, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে হোয়াইক্যং থেকে আসা শামলাপুরগামী দু’টি সিএনজি (অটোরিকশা) হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের ঢালা থেকে ডাকাতদলের সদস্যরা সিএনজি চালকসহ আনুমানিক ৭ জনকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে। ডাকাতদল সিএনজি ( অটোরিকশা’র) দুটির গ্লাস ভেঙে দেয়।
অপরদিকে (৩০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের জাদিমুড়া পাহাড়ে বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিকসহ ১৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন।এখনো তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃত সবার কাছ থেকে ১ লাখ করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অপহৃতদের পরিবার। এছাড়াও একইদিন রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার মুদির দোকানদার জসিম উদ্দিনকে ২০-২৫ জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল তার দোকান থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) শোভন কুমার শাহা বলেন, ”হোয়াইক্যং- শামলাপুর সড়কে দুইটি সিএনজি (অটোরিকশা) থেকে চালকসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি। কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে সেটার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি।তবে ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে।”
এদিকে সকাল থেকে পুলিশ, র্যাব ও বনবিভাগের কর্মীরাসহ হ্নীলার রঙ্গিখালী হয়ে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।