২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

এমপি জাফরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থান মাঠে নামতে পারেনি বিএনপি

বার্তা পরিবেশক:

কেন্দ্রঘোষিত গণমিছিল ও রাজপথ দখলের নামে কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া ও মাতামুহুরী বিএনপির নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে কঠোর অবস্থানে ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ এর নেতৃত্বে এবং নির্দেশনায় চকরিয়া, পেকুয়া ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অন্তত ১৫টি পয়েন্টে কঠোর অবস্থান নেয়। এতে আগুন-সন্ত্রাসীদের দল বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে তাদের কর্মসূচী পালনে মাঠে নামতে দেখা যায়নি। আগামীতেও বিএনপির যে কোন ধরণের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার জন্য রাজপথ পাহারায় থাকবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগ জানায়- অতীতে আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত পেট্রোল বোমা মেরে, বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। মানুষের সহায়-সম্পদ নষ্ট করেছে। তাদের আন্দোলনের কর্মসূচী মানেই হচ্ছে জানমালের ক্ষতি করা। তাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপিকে রাজপথে আর অতীতের মতো সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড চালাতে দেবে না।
সরজমিন দেখা গেছে- বৃহস্পতিবার সেই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এখান থেকে ওখানে ছুটে চলেছেন। বিএনপির নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে চকরিয়া, পেকুয়া ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলার অন্তত ১৫টি পয়েন্টে কঠোর অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এমপির ব্যক্তিগত সহকারি আমিন চৌধুরী জানান- কেন্দ্র এবং জেলা বিএনপির নির্দেশনা মোতাবেক বৃহস্পতিবার চকরিয়া, পেকুয়া ও মাতামুহুরী উপজেলায় বিএনপি গণমিছিল করবে, এমন খবরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া এবং সাংগঠনিক মাতামুহুরী উপজেলার অন্তত ১৫ পয়েন্টে তথা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের খুটাখালীতে বাহাদুর হকের নেতৃত্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, একই ইউনিয়নের মেদাকচ্ছপিয়া পয়েন্টে আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর নেতৃত্বে, ডুলাহাজারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীরা, ফাঁসিয়াখালীতে চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা, পৌরশহর চিরিঙ্গায় পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটুর নেতৃত্বে, লক্ষ্যারচরের জিদ্দাবাজারে লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক খম বুলেটের নেতৃত্বে, কাকারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত ওসমান ও কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে এবং বরইতলী, হারবাংয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, পেকুয়া সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে, মাতামুহুরী উপজেলাস্থ চকরিয়া-মহেশখালী সড়কের দরবেশকাটায় মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা এবং সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টুর নেতৃত্বে কঠোর অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় দলের নেতাকর্মীরা এই কঠোর অবস্থান সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের স্ব স্ব ইউনিট। যার কারণে বিএনপি তাদের কর্মসূচী নিয়ে দিনভর মাঠে নামতে পারেনি।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মসূচীতে কোনসময় কাউকে বাঁধা দেয়নি। মূলত বিএনপি চকরিয়ায় সাংগঠনিকভাবে খুবই ভঙুর অবস্থায় রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালন করার সক্ষমতাও তাদের নেই।’

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এমপি আরো বলেন, ‘মূলত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর কথা বলে বিএনপি রাজপখ দখলে নিয়ে জনগণের সম্পদ নষ্ট করাসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার পরিকল্পনায় ছিল। তাই উপজেলা, পৌরসভা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল, রাজপথে বিএনপিকে মোকাবেলা করার। এরই অংশ হিসেবে মহাসড়কসহ চকরিয়ার অন্তত ১০টি পয়েন্টে আমিসহ (এমপি) নেতাকর্মীরা কঠোর অবস্থা নিই। আগামীতেও এখানে আগুন-সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতের যে কোন ধরণের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না।’

মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করছে। কিন্তু বিএনপি আন্দোলনের নামে অতীতের মতো আবারো মানুষকে পুড়িয়ে মারাসহ রাজপথ দখলে নিয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর অপতৎপরতা শুরু করায় মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আজ সারাদিন রাজপথে কঠোর অবস্থানে ছিলাম আমরা। এই কারণে বিএনপি মাঠে নামতে পারেনি। ভবিষ্যতেও এখানে বিএনপি-জামায়াতকে কোন ধরণের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।