সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তথ্য গোপন, জাল কাগজপত্র ও কর্মকর্তাগণের স্বাক্ষর জাল করে ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হওয়ার চেষ্টাকালে দুই রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে জেলে পাঠিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। ৩০ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।
জানা যায়, ২৬ অক্টোবর থেকে সদর উপজেলায় ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৭ এ ভোটার হওয়ার যোগ্য বাংলাদেশী নাগরিকদের যাচাই বাচাই শেষে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৩০ অক্টোবর ছিল পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার নির্ধারিত দিন। ওই দিন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত আবেদন ফরমের মাধ্যমে আবেদিত লোকদের মধ্যে গৃহীত হওয়া ব্যক্তিদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলাকালে দুই ব্যক্তির আবেদন ফরম সন্দেহজনক মনে করেন নিবন্ধন টিমে দায়িত্বরতরা। যাচাই বাছাই করে দেখা যায় ওই ব্যক্তিগন রোহিঙ্গা নাগরিক এবং তাদের আবেদন ফরমে জাল স্বাক্ষর ও সংযুক্ত কাগজপত্রাদি নকল। পরে বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জনাব শিমুল শর্মা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন মহোদয়কে জানানো হলে তাদের তাৎক্ষনিকভাবে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হল- আবুল হাশিম (৭০), পিতা- মৃত মিয়া হোছন, গ্রাম- কাঞ্জর পাড়া, হ্নীলা টেকনাফ এবং মোঃ আইয়াছ (২৬), পিতা- আব্দুল আখের, গ্রাম- ধেছুয়া পালং, রামু। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা উভয়েই মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করে।
তারা আরো জানায়, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের সুপারভাইজার পূর্ব গোমাতলী স: প্রা: বি: এর প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান তাদের এ ব্যপারে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সহযোগীতা করেন। পরে উভয়কে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এ তফসিল মতে বাংলাদেশ দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩৫৩ বিধি মোতাবেক ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন। পরে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।