২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজারের ভাষা সংগ্রামীরা আমাদের অহংকার

shomoy
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে কক্সবাজারে নেতৃত্বদানকারী ভাষা সংগ্রামীরা আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। তাঁরা আমাদের অগ্রজ, আমাদের দিশারী। আগামী প্রজন্মের কাছে তাঁদেরকে পরিচিত করা আমাদের দায়িত্ব, আমাদের কর্তব্য। ২০ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর ৩৪৭তম পাক্ষিক সাহিত্য আসরে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল কাদের বাবুলের সঞ্চালনায় কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘কক্সবাজারে ভাষা আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তাগণ আরো বলেন, ভাষা আন্দোলন মূলত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের সূতিকাগার। ১৯৫২ সালে পশ্চাৎপদ কক্সবাজারের কোমলমতি শিশু-কিশোরেরা সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে কক্সবাজারের ইতিহাসে গৌরবজনক অধ্যায় রচনা করেছেন। সদ্য স্বাধীনতালাভকারী পাকিস্তানিরা উর্দু ভাষাকে বাঙালির উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সেদিন সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় কক্সবাজারের কয়েকটি হাইস্কুল, জুনিয়র হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুলের শিশু-কিশোরেরাই এগিয়ে এসে করেছিলো আন্দোলন, মিছিল, সমাবেশ। কক্সবাজারসহ সারা দেশের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি শাসকেরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছিলো।
বক্তাগণ বলেন, ১৯৫২ সালের কক্সবাজারের সেই ইতিহাস ছিলো আমাদের কাছে ছাই চাপা, অজ্ঞাত। একাডেমী সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম ও একাডেমীর নির্বাহী সদস্য কালাম আজাদ পৃথক গ্রন্থের মাধ্যমে সেই ইতিহাসকে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। এই গ্রন্থের মাধ্যমে কক্সবাজারের বর্তমান প্রজন্ম কক্সবাজারের বাংলা ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে অবগত হওয়ার সুযোগ পেলেন। সেই ইতিহাসকে মুদ্রিত আকারে উপস্থাপন করে ভাষা আন্দোলনের সেই সূর্য সারথীদের কাছে জেলাবাসীকে কিছুটা দায়মুক্ত করেছেন।
সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর স্থায়ী পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট সুলতান আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী, এডভোকেট নূরুল হক, একাডেমীর সহ-সভাপতি ছড়াকার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আমির উদ্দীন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক শামীম আকতার, নির্বাহী সদস্য রাজবিহারী চৌধুরী, সোহেল ইকবাল, মিজান সিকদার, ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘কবিতার রাজপথ’ সম্পাদক কবি মনির ইউসূফ।
এরপরে অনুষ্ঠিত হয় স্বরচিত ও প্রিয় কবির কবিতা পাঠ। কবিতা পাঠ করেন রাজবিহারী চৌধুরী, রুহুল কাদের বাবুল, দিলওয়ার চৌধুরী, মোহাম্মদ আমিরুদ্দীন, মনজুরুল ইসলাম, শামীম আকতার, মনির ইউসূফ, মিজান সিকদার, কল্লোল চৌধুরী।
একাডেমীর ৩৪৮তম পাক্ষিক সাহিত্য সভা আগামী ৩ এপ্রিল বিকাল ৪টায় কক্সবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত আসরে একাডেমী সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম লিখিত ‘কক্সবাজারের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন’ গ্রন্থের উপর আলোচনা হবে। একাডেমীর স্থায়ী পরিষদ, নির্বাহী পরিষদ, জীবন সদস্য ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ, জেলার কবি-সাহিত্যিক, সাহিত্যামোদি, সাহিত্যানুরাগী ও বুদ্ধিজীবীগণকে সঠিক সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য একাডেমীর সভাপতি সাংবাদিক-গবেষক মুহম্মদ নূরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুল বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।