ইমাম খাইরঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষায় নিরলস কাজ করছে সেনা বাহিনী, পুলিশ। মাঠে রয়েছে র্যাব-বিজিবিও। সব মিলিয়ে সরকারী বাহিনীগুলোর তৎপরতা বেশ লক্ষণীয়। তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজার শহরের বড় বাজারের কাঁচাবাজার, আইবিপি এলাকা, বাজারঘাটা, কালুরদোকান, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ যেসব স্থানে সচরাচর জনসমাগম হয়ে থাকে সেসব জায়গায় পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর টহল গাড়ির উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের বুঝিয়ে ঘরে ফেরাতে ব্যস্ত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সরকারি বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (২৭ মার্চ) সড়কে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। অনেকে মসজিদে গেলেও জুমার নামাজ আদায় শেষেই ঘরে ফেরেনা।
আবার জনসমাগম ঠেকাতে জুমার নামাজ শেষে কক্সবাজার বদর মোকাম, লালদীঘির পাড় ও বায়তুর রহমান জামে মসজিদের সামনে সেনা সদস্যদের বেশ সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। নামাজ শেষেই তারা মুসল্লিদের বাড়িতে চলে যেতে উদ্ভুদ্ধ করে। হ্যান্ড মাইকে প্রচারণা চালায়। এ সময় সড়কে চলাচলরত ছোটখাটো যানবাহনেও তল্লাসি চালিয়েছে।
ওয়াটার ক্যানন দিয়ে রাস্তায় জীবাণুনাশক পানি ছিটায় সেনা বাহিনী।
এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা জাবেদ কাইছারের নেতৃত্বে একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে জানান, ঘরের বাইরে লোক সমাগম নিয়ন্ত্রিত রাখতে পুলিশ ব্যাপক সতর্কতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রতিটি থানায় ২ শিফটে ৭ জন করে মোট ১৪ জন সদস্য কাজ করে। চকরিয়া ইনানী রিসোর্টের সামনে দায়িত্ব পালন করে ১ শিফটে ১০ জন করে দুই শিফটে রয়েছে মোট ২০ জন।
এছাড়া সেনা বাহিনীর সাথে কাজ করতে ১ টি করে স্ট্রাইকিং ফোর্সে ৮ সদস্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে।
এসপি মাসুদ জানান, কক্সবাজার সদরে ৮টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে ২ শিফটে একেকটি গ্রুপে ৮ সদস্য দায়িত্ব পালন করে থাকে।
জনগণকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এসব দিনে জরুরি প্রয়োজন (খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ কেনা, চিকিৎসা, মৃতদেহ সৎকার) ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে না যেতে জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।
অযথা বাইরে আসা জনসাধারণকে ঘরে ফিরে যেতে প্রতিটি থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনও করোনা সচেতনতা তৈরীতে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত ১ জন করোনা রোগি শনাক্ত হয়েছে। তিনি সদর হাসপাতালের ৫০১ নং কক্ষে চিকিৎসাধীন।
হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১০ জন চিকিৎসক। সেখান থেকে ৩ জনের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এই রিপোর্ট দিয়েছে। এছাড়া ৮ জন নার্স ও ৩ জন ক্লিনার হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।