কক্সবাজারে আলাদা লবণ বোর্ড গঠনের প্রচেষ্টা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশের নিজস্ব শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে বাস্তবমুখি উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। বিএনপি সরকারের সময় কক্সবাজার থেকে বোট যোগে মিয়ানমারের সার পাচার হত, আর ওই বোটে লবণ আনতো। বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত মাঠে মঙ্গলবার বিকালে আয়োজিত এক লবণ চাষী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।চাষীদের দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে লবণ আমদানি করলে লবণের দাম বাড়বে এটা ঠিক। কিন্তু দাম কমলে বন্ধ হয়ে যাবে আমাদের লবণ চাষ। এতে শুধু চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা না। দেশে যখন লবণ উৎপাদন হবে না তখন সব লবণ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। এতে বিরাট চাপে পড়বে দেশ। তাই সবদিক বিবেচনা করে ঘাটতি না হওয়া পর্যন্ত লবণ আমদানি করা হবে না।
বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেছেন, ২০১৯ সালে ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। সদ্য ঘোষিত কমিশনারের তত্ত্বাবধানে বর্তমান সরকারে অধিনে এ নির্বাচন হবে। আর এ নির্বাচনের জন্য তিনি নৌকার পক্ষে ভোটও প্রত্যাশা করেন।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, কক্সবাজার পৌরসভা মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, লবণচাষী কল্যাণ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক কায়সার উদ্দীন, মহেশখালী উপজেলা লবণচাষী সমবায় সমিতির সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলা লবণচাষী কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি শফিক মিয়া, ইউনুছ বাঙ্গালী প্রমুখ।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মঞ্জুর আলম। সমাবেশে জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, টেকনাফসহ বিভিন্ন স্থানের লবণচাষী নেতা ও বিপুল চাষী উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।