অবশেষে কক্সবাজারে একদিনেই পাওয়া গেল চারজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। এদের তিনজন মহেশখালীর, অন্যজন টেকনাফ উপজেলার।
রোববার (১৯ এপ্রিল) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে করোনাভাইরাস টেষ্টে ওই চারজনের রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ পাওয়া যায়। এনিয়ে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবের টেষ্টে ৫ জন করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া গেল। আগে পাওয়া একজন করোনা পজিটিভ রোগী হলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার কুলাল পাড়ার আবু ছিদ্দিক। তিনি ছিলেন খুলনা হয়ে ঢাকাফেরত তাবলীগ জামাতের ছিল্লাধারি।
রোববার পাওয়া চারজন করোনা পজিটিভ রোগীর বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে আজ রোববার (১৯ এপ্রিল) ৬২ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনাভাইরাসের নমুনা টেষ্ট হয়েছে। মহেশখালী ও টেকনাফের চারজন বাদে অন্যদের রিপোর্ট বরাবরের মতোই ‘নেগেটিভ’ এসেছে।
তবে এই ল্যাবে গত ১৯ দিনে ৪০৬ জন সন্দেহভাজন রোগীর টেষ্ট করে ৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্থিত্ব পাওয়া গেছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোনিয়া আফরোজ, প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রূপেশ পাল ও ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মো. শাহজাহান নাজির।
তারা জানান, গতকাল শনিবার (১৮ এপ্রিল) কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরসহ জেলার উপজেলা ও পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ফ্ল্যু সেন্টার থেকে ৭৩ জন সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা হওয়া রোগীদের মধ্যে ৪ জন রোগীর রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যায়।
এদের মধ্যে আবার শুধু মহেশখালী উপজেলা থেকেই ২৬ জনের করোনা টেষ্ট হয়েছে। যাদের মধ্যে ৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, কক্সবাজার ল্যাবে প্রতিদিন ৯৬ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষার সুযোগ থাকলেও উপজেলা পর্যায় পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা আসছে না। তবে রোববার অনেক বেশি নমুনা পাওয়া যায়।
তিনি জানান, রোববার পরীক্ষা করা ৬৩টি নমুনারই প্রতিবেদন ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। ওখান থেকেই আনুষ্টানিক ভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবটিকে ঢাকাস্থ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্টান (আইইডিসিআর) করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নির্ধারণ করেছে। গত পহেলা এপ্রিল থেকে ল্যাবটি চালু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে, প্রথম ৬ দিনে ২৪ জন, ৭ এপ্রিল ২৫, ৮ এপ্রিল ২৪ জন, ৯ এপ্রিল ২৭ জন, ১০ এপ্রিল ৩৭ জন, ১১ এপ্রিল ৯ জন, ১২ এপ্রিল ৩২ জন, ১৩ এপ্রিল ২৪ জন, ১৪ এপ্রিল ৩১ জন, ১৫ এপ্রিল ১৭ জন, ১৬ এপ্রিল ৪১ জন, ১৭ এপ্রিল ৩৯ জন, ১৮ এপ্রিল ১৩ জন ও ১৯ এপ্রিল ৬৩ জন সন্দেহভাজন রোগীর পরীক্ষা করা হয়েছে এই ল্যাবে। সব মিলিয়ে পরীক্ষা হওয়া রোগী সংখ্যা এখন ৪০৬ জন। এদের মধ্যে ৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসে অস্থিত্ব পাওয়া গেছে।
সূত্র- কক্সবাজারভিশন
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।