২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়

কক্সবাজারে পর্যটন জোন করার দায়িত্ব পাচ্ছে বেজা : সাবরাং সৈকতের ২৭ হাজার একরজুড়ে বিশেষ অঞ্চল গড়ার পরিকল্পনা

images
অবশেষে কক্সবাজারে একটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলার দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা গতি পাচ্ছে। পর্যটন শিল্পের জন্য প্রথমবারের মতো বিশেষায়িত এ অঞ্চল গড়ে তোলার কাজে এক ধাপ অগ্রগতি হচ্ছে।
জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে বৃহস্পতিবার পর্যটন করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেজা পর্যটন খাতের আলোচিত এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গত ২৭ জানুয়ারি এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। এরপর সংস্থাটি বিশেষ এ অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ শুরুর প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করে।
এর অংশ হিসেবে আজ জমি বুঝে নেওয়ার বিষয়ে চুক্তি হবে। এতদিন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল পর্যটন করপোরেশন। এ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত ৯৩৫ দশমিক ৮৮ একর সরকারি খাস জমি এতদিন পর্যটন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ছিল।
সম্প্রতি অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটন করপোরেশন এ জমির দায়িত্ব বেজাকে দেবে। বাকি ৯১ একর জমি স্থানীয়ভাবে অধিগ্রহণের জন্যও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বেজাকে অনুমতি দিয়েছে।
বিনিয়োগের অভাবে কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন স্থাপন প্রকল্প গত পাঁচ বছর ধরে উদ্যোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। টেকনাফের সাবরাং এলাকায় সমুদ্র সৈকতের তীরে ২৭ হাজার একরজুড়ে এটি গড়ে তোলা হবে।
বেজার চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ৮ থেকে ১০ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক আসে। এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোনটি স্থাপিত হলে এখানে আরও সমপরিমাণ পর্যটকের সমাগম বাড়বে। আপাতদৃষ্টিতে কঠিন মনে হলেও এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের পর্যটন শিল্পে বিপ্লব ঘটবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমে দেশের পর্যটন খাতের সবচেয়ে বড় এ প্রকল্পে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সহায়তার কথা থাকলেও পরে সংস্থাটি অপারগতা জানায়। এ কারণে প্রকল্পটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় বাস্তবায়নের জন্য বেজার তত্ত্বাবধানে দিয়েছে সরকার।
ছয় শিল্প অঞ্চলে বিভক্ত এ জোনে হোটেল কমপ্লেক্স, ইকো ট্যুরিজম, স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সট্রিম ট্যুরিজম, রিক্রিয়েশনাল ট্যুরিজম, বিজনেস ট্যুরিজম, ওয়াটার ট্যুরিজম, স্পা-ট্যুরিজম এবং মিনারেল ওয়াটার উৎপাদন কার্যক্রম থাকবে।
এ জোনের সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের সংযোগকে পর্যটনের বিকাশে কাজে লাগানো হবে বলে বেজার কর্মকর্তারা জানান।

ফা্ইল ছবি

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।