কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১১ জন আসামী আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ও গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী। এছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র, চাকু, মুখোশ ও ছিনতাইকৃত টাকা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, ওসি (অপারেশন) মাঈন উদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক কুতুব উদ্দিনের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালে শহরের গোলদিঘীর পাড়স্থ পৌরসভার মালিকানাধীন পরিত্যক্ত ওয়াশা বিল্ডিং থেকে আটক করা হয় ৮ সন্ত্রাসীকে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১টি দেশীয় তৈরি এলজি, ৩ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ, লোহার রড, ৩টি ছোরা, ১টি দা ও ৩টি মুখোশ। আটককৃতরা হলো-শহরের ঘোনারপাড়া কৃষ্ণানন্দধাম এলাকার মৃত শ্যামল দাশের পুত্র অভি দাশ (১৯), পশ্চিম লারপাড়ার নুর বশরের পুত্র মুন্না হাছান (১৯), বৈদ্যঘোনার মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র রমজান আলী শিকদার প্রকাশ বাবু (১৯), পশ্চিম বাহারছড়ার কবির আহমদের পুত্র এনামুল কবির ইমন (২৬), ঘোনারপাড়ার মৃত মোঃ হোসেনের পুত্র আবদুল গফুর মোহাম্মদ শাহ ইমরান (৩১), খুরুস্কুল আদর্শ গ্রামের নুর মোহাম্মদের পুত্র শামসুল আলম (২৮), মহাজের পাড়ার মৃত মোজাফফরের পুত্র আবদুল গফুর প্রকাশ মিন্টু (২৩) ও রুমালিয়ারছড়া পিটি স্কুল এলাকার মৃত সৈয়দুল হকের পুত্র জাহেদ (২১)। এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং-৭০, তাং-২১/০৩/১৭ইং, ধারা-৩৯৯/৪০২ ধ:বি:)। তাছাড়া ১নং আসামী অভি দাশের কাছ থেকে অস্ত্র পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে পৃথকভাবে অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দেরঘোনা লাল শরীয়াপাড়া এলাকার থেকে জনৈক নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ৭০ হাজার টাকাসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। এরা হলো-কালিরছড়ার কালু মিস্ত্রির পুত্র এনামুল হক এনাম (২৮), চান্দেরঘোনার সুরুত আলমের পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২২) ও ঈদগাঁও সাতঘড়িয়া পাড়ার জাফর আলমের পুত্র মামুনুর রশিদ প্রকাশ মামুন (২৩)। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন¬-অপরাধ নির্মুলে মডেল থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।