বিশেষ প্রতিবেদকঃ কক্সবাজারে পৃথক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বৃদ্ধা ও শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মাঝে ৪ জন রোহিঙ্গা মা-সন্তান। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চকরিয়ার বরইতলী ও উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় পৃথক সময়ে অগ্নিকান্ডের এ মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।
চকরিয়ায় নিহত বয়োবৃদ্ধার নাম বেগম নুরুন্নাহার (৬৮)। তিনি চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের তেইল্যাকাটার সিরাজুল হক’র স্ত্রী।
চকরিয়ার বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার জানান, ইউনিয়নের তেইল্যাকাটা গ্রামে জনৈক সিরাজুল হকের বাড়িতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুণের লেলিহান শিখা মুহুর্তে বাড়ির চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে যে যারমতো প্রাণ নিয়ে বাড়ির বাইরে এসে আত্মরক্ষা করে। কিন্তু পক্ষাঘাতে আক্রান্ত বাড়ির বয়োবৃদ্ধ নারীটি বের হতে না পেরে পুড়ে অঙ্গার হয়ে মারাযান। শুক্রবার তাকে দাফন করা হয়েছে।
অপর অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্ট এলাকায়। সেখানে বাস করা রোহিঙ্গা আবদুর রহিমের তাবুতে বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে আগুন লাগে। পলিথিনের বেড়া ও চালার কারণে দ্রুত আগুন চার পাশে ছড়িয়ে যায়। ফলে আবদুর রহিমের স্ত্রী ঘুমন্ত নুর হাবা (৩০), সন্তান আমিন শরীফ (৮), দিলশান বিবি (১২) ও আসমা বিবি (৫) আগুনে পুড়ে আহত হয়। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে পাশর্^বর্তী রেডক্রিসেন্টের অস্থায়ী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা রাতেই মারা যান। হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও উখিয়া-টেকনাফ সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাইলাউ মারমা।
তিনি আরো জানান, অগ্নিকান্ডের সময় বাড়ির কর্তা বাইরে ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে মোমের আগুন থেকে অগ্নিকান্ডটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্যাম্প সূত্র জানায়, আবদুর রহিমের পরিবার রাসিধং এলাকা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে কুতুপালং ট্রানজিট এলাকায় বাসা গড়েছিল।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামানও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনেছেন উল্লেখ করে বলেন, জেলা প্রশাসক মতোদয় একটি টিম গঠন করে দিয়েছেন। যারা অগ্নিকান্ডের বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিবেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।