এএইচ সেলিম উল্লাহ:
সারাদেশের ন্যায় তৃতীয় ধাপে কক্সবাজারের আট উপজেলায় মুজিববর্ষের ঘর পাচ্ছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন ১২৫২ টি পরিবার। আগামি জুন মাসের মধ্যে দলিলসহ ১২৫২টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। ইতোমধ্যে ঘর নির্মানের কাজ যথা সময়ে শেষ করার জন্য স্ব-স্ব কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপে জেলার আট উপজেলায় ১২৫২ টি ঘর নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ২২০ টি। কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪০.১৩ শতাংশ, চকরিয়ায় নির্মিত হচ্ছে ২৫০টি ঘর । কাজে অগ্রগতি ৫৯.১০ শতাংশ, পেকুয়ায় ৪৩ টি ঘর। কাজের অগ্রগতি ৬০.১১ শতাংশ। রামুতে ৪০০টি ঘর। কাজের অগ্রগতি ৩২.৫১ শতাংশ। মহেশখালীতে ৩৫টি ঘর। কাজের অগ্রগতি ৩২.৫১ শতাংশ। উখিয়ায় ২৪৫টির কাজের অগ্রগতি ২৯.৭৩ শতাংশ। টেকনাফে ৪০টি ঘর কাজের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ। কুতুবদিয়ায় ১৯টি ঘর নির্মান কাজের অগ্রগতি ৪১.৫৭ শতাংশ। গড়ে পুরো জেলায় নির্মান কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫২.৯৫ শতাংশ। আগামি জুনের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় জানিয়েছেন, কাজের অগ্রগতি তদারকি করতে প্রতিনিয়ত মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। তাঁর অধীস্থ ২২০ টি ঘরের নির্মাণ কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়ে বলে দাবি করেন তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.আমিন আল পারভেজ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিববর্ষের উপহার হিসাবে দুই মাস আগে থেকে ঘর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে কাজ ৫২ শতাংশ শেষ হয়েছে। ৮ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের দ্রুত কাজ শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে কক্সবাজার সদর , টেকনাফ, উখিয়া, রামুসহ সব উপজেলায় র্নিমানাধীন বাড়ি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। কাজের মান সন্তোষজনক বলে দাবি করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত অগ্রাধিকার প্রকল্প যেহেতু অসহায়দের সহায় হবে ঘরসমুহ। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন কমিটির সার্বিক তত্বাবধানে ১২৫২টি বাড়ি নির্মান করা হচ্ছে। এতে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গতঃ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ি ২ শতাংশ পরিমান জমির মালিক, জমি পাওয়া সাপেক্ষে হিজড়া, বেদে, বাউল ,আদিবাসী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি, গৃহহীন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, নদী ভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে গৃহহীন, বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা, প্রতিবন্ধী এবং পরিবারে উর্পাজনক্ষম লোক নেই এমন লোককে উক্ত বাড়ি দেওয়া হচ্ছে যা তালিকায় প্রতীয়মান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে অনেক অসহায় পরিবার মাথাগুজার ঠাঁই পাবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।