২০ নভেম্বর, ২০২৪ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়   ●  কক্সবাজার সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কবির, আফসেল ও রাশেলকে প্রতিনিধি মনোনয়ন।

কক্সবাজারে যৌথ অভিযানে পাকা স্থাপনা ভেঙ্গে ৩ একর বনভূমি উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কক্সবাজার সদর উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে  পাহাড় কেটে অবৈধভাবে গড়ে তোলা পাকা স্থাপনা ভেঙে ৩ একর  বনভূমি উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ। জেলা প্রশাসন, র‍্যাব, বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর গত শনিবার ও রোববার পৃথক যৌথ অভিযান চালিয়ে পাহাড়ে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। অভিযানে নেতৃত্বে দেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকারিয়া।

দক্ষিণ বনবিভাগের সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা বলেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জের ঝিলংজা মৌজার সরকারি রক্ষিত বন ভূমির লিংকরোড বিটের মোহরীপাড়া, কলাতলী বিটের চন্দ্রিমা এলাকা এবং কলাতলীর লাইটহাউজ পাড়ায় বনের জায়গায় পাহাড় কেটে দালান নির্মাণের তথ্য আসে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সরোয়ার আলমের নির্দেশনায় কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে নির্মিতব্য পাকা দেওয়াল ও ঘর ভেঙে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পাহাড় দখল করে মাটি কাটার পর ঘর তৈরি করা লিংক রোড মুহুরীপাড়ার আহমেদ করিমসহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মামলা হচ্ছে। এছাড়া গতকাল রোববার কলাতলীর লাইটহাউজ এলাকার বাঘঘোনা নামক স্থানে অবৈধভাবে  সরকারি ১নং খাস খতিয়ান  ভুক্ত পাহাড় কেটে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে ভূমি দখলের চেষ্টা প্রতিহত করে উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়াও শহরের লারপাড়া ও পুলিশ লাইনের পিছনে পাহাড় কাটা স্থান পরিদর্শন করে পরিবেশ আইনের আওতায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সরোয়ার আলম বলেন, কক্সবাজারে বনভূমি পরিমাণের বিপরীতে লোকবল কম। কিন্তু বনকে অবৈধভাবে ক্ষতবিক্ষত ও ভোগ করার লোকজন বেশি। দখলবাজ ও ক্ষমতাবানরা একীভূত হয়ে পাহাড় ও বন ধ্বংস করায় অনেক সময় অনেককিছু বনকর্মীদের অগোচরে থাকে। তবে যখনই কোনো পাহাড় কর্তন ও বনে পাকা দালান গড়ার তথ্য আসে তাৎক্ষণিক অভিযান চালানো হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।