নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল কক্ষে আওয়ামীলীগের নেতা সাইফুদ্দিনকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করেই হত্যা করা হয়।তার শরীরের অন্যান্য আঘাতের চিহ্ন ছাড়া ১৭ টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। আর পুরো হত্যার মিশনে অংশ নিয়েছেন সিসিটিভির ফুটেজে শনাক্ত হওয়া আশরাফুল ইসলাম নামের এই ছেলেটি একা।
মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সাইফুদ্দিন ও আশরাফুল আবাসিক হোটেলটির কক্ষে এক সঙ্গেই গিয়েছিলেন। খুব বেশি প্রতিশোধ পরায়ন হয়েছে এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে। এরপর আশরাফুল কক্ষ থেকে বের হয়ে সাইফুদ্দিনের মোটর সাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়। সোমবার রাতে আশরাফুলকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দিনের বিস্তারিত স্বীকারও করেছেন। ইতিমধ্যে সাইফুদ্দিনের মোটরসাইকেল, হত্যায় ব্যবহৃত অন্যান্য আলামতও পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে। মঙ্গলবার দুপুরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার সকালে কক্সবাজার শহরের হলিডের মোড় সংলগ্ন আবাসিক হোটেল সানমুনের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষে মিলে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিনের মরদেহ। তার হাত বাঁধা অবস্থায় পাওয়া মরদেহটির শরীরে কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং শরীরের নানা অংশে জখম রয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হোটেল থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে পুলিশ শনাক্ত করতে সক্ষম হন। পরে সোমবার মধ্যরাতে প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত সন্দেহ করা ওই ঘাতকের অবস্থান পুলিশ নিশ্চিত হন। এ তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অস্থায়ী তল্লাশী চৌকি স্থাপন করা হয়। টেকনাফমুখি একটি বাসে তল্লাশীর সময় পুলিশ আশরাফুল ইসলাম আটক করে।
নিহত সাইফুদ্দিন (৪৫) কক্সবাজার শহরের ঘোনার পাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার আবুল বশরের ছেলে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।