২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

কক্সবাজারে সেরা রেমিটেন্স প্রেরণকারীর সম্মাননা পেলেন ৫ প্রবাসী


২০১৬ সালে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠিয়ে সেরা রেমিটেন্স প্রেরণকারী সম্মাননা পেলেন পাঁচ প্রবাসী। প্রতিবছরের মতো এই বছরও সেরা রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের সম্মাননা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতকাল এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠিয়ে ২০১৬ সালের কক্সবাজার জেলায় ৫জন প্রবাসী সেরা রেমিটেন্স প্রেরণকারী নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচজনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন কক্সবাজার পৌরসভার তারাবনিয়ারছড়া এলাকার শাফায়েতুল আলম। আরব আমিরাত থেকে পাঠানো এই প্রবাসীর রেমিটেন্সের পরিমাণ ১ কোটি ৬২ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৩ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী হলেন চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা পালাকাটা এলাকার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। দুবাই থেকে তার পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ ৮৪ লাখ টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী হলেন, কক্সবাজার শহরের বদরমোকাম এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসাইন। সৌদি আরব থেকে তার পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ ৭০ লাখ টাকা। চতুর্থ সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী হলেন রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকার বাসিন্দা আবুল কায়সার। সৌদি আরব থেকে তার পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ৫০২ টাকা। পঞ্চম সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী হলেন কক্সবাজার শহরের উত্তর তারাবনিয়ারছড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিম। দুবাই থেকে তার পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ ৬৮ লাখ এক হাজার টাকা। সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী হিসাবে এই পাঁচজনকে শ্রেষ্ঠ রেমিটেন্স প্রেরণকারী হিসাবে পুরস্কৃত করেছে জেলা প্রশাসন। অভিবাসন দিবসের তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তাদের পক্ষে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন তাদের স্বজনেরা।
জানা গেছে, অভিবাসন দিবসে বিদেশে মৃত্যু বরণকারী দু’জনকে মৃত্যু দাবি ও দুর্ঘটনায় আহত এক প্রবাসীকে ক্ষতিপূরণের অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। মৃত্যুবরণকারীর দু’জনই ওমানে মারা যান। তাদেরকে ক্ষতিপূরণ বাবদ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ৩লাখ টাকার চেক দেয়া হয়। এছাড়া সৌদিআরবে দুর্ঘটনায় আহত মো. ইউসুফকে ১ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়।
অন্যদিকে ২০১৬ সালের পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ অর্জনকারী প্রবাসীদের সন্তানদের পুরস্কৃত করেছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে পিএসসিতে জিপিএ ৫ অর্জনকারী ১৩ জনকে ১০ টাকা করে, জেএসসিতে জিপিএ ৫ অর্জনকারী ১৮জনকে ১৪ হাজার টাকা করে, এসএসসিতে জিপিএ ৫ অর্জনকারী ১৪জনকে ২১ হাজার টাকা এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৫ অর্জনকারী ২জনকে ২৭ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়।
এর আগে আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবসের এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করেন। র‌্যালীতে বিভিন্ন স্তরের বিপুল মানুষ অংশ নেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস উপলক্ষ্যে লোকজন সচেতন করতে নিরাপদ অভিবাসন, মানবপাচার, পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিংসহ বিদেশ যাওয়ার যাবতীয় তথ্য নিয়ে তিনটি ‘তথ্যস্টল বসে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) ইপসা ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের উদ্যোগে এই তিনটি ‘তথ্যস্টল’ বসানো হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।