কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ
কক্সবাজার সদরের বাংলাবাজার পশ্চিম মোক্তারকুল এলাকা থেকে তাসলিমা আকতার (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূ পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার মৃত রমজানের মেয়ে।
এই ঘটনায় স্বামী মো. ফারুক পলাতক রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার।
তিনি বলেন, গলাটিপে এই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে। হত্যার পরপরেই স্বামী পলাতক রয়েছে। কি কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এখনো জানা যায়নি। তবে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নিহতের মা রাজিয়ার বেগমের বরাত দিয়ে স্থানীয় ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর স্ত্রী তসলিমাকে নিয়ে তাদের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে মো. ফারুক। সন্ধ্যার আগে শ্বাশুড়ি রাজিয়া বেগমকে ফোন করে মো. ফারুক জানায়, তসলিমাকে পাওয়া যাচ্ছে না। মাগরিবের আগে রাজিয়া বেগম মেয়ের বাড়িতে এসে দেখেন ভাড়াবাড়িতে মেয়ের মৃত পড়ে আছে। এসময় ফারুক বাসায় ছিল না। পরে এই খবর লোকের মাধ্যমে জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
পরিচয় সূত্র থেকে মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা মো. ফারুকের সাথে তাসলিমা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাসলিমা পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা ছিলো বলে জানান চেয়ারম্যান।
স্থানীয়দের ধারণা, মাদক কিংবা অন্য কোনো অপরাধ কর্মে জড়িত হয়েছে ফারুক কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। এসময় পিতৃহীন তাসলিমাদের পরিবারের সাথে পরিচয়ের পর সখ্যতা ঘটে। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তাসলিমাকে পারিবারিকভাবে বিয়েও করে ফারুক। কিন্তু তার আসল কাজ কি কেউ দেখেনি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে রাত ১১ টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে । পারিবারিক কলহের কারণে হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর এবং স্বামীকে আটকের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।