২০১৭ সালে পবিত্র হজব্রত পালনে গমণেচ্ছুকদের ‘হজ প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও প্রাক্-নিবন্ধন সনদ বিতরণ’ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। শহরের মোটেল উপলে সোমবার (১৩ মার্চ) দিনব্যাপী কর্মশালায় মূখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা আশোকানা হাজী ক্যাম্পের জাতীয় হজ প্রশিক্ষক গুলে জান্নাত নার্গিস। প্রধান আলোচক ছিলেন চকরিয়া শাহারবিল আনোয়ারুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ও শহরের মাঝেরঘাট জামে মসজিদের খতীব আলহাজ মাওলানা শফিউল হক জিহাদী। হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেন কক্সবাজার বায়তুশ শব্বারিয়া একডেমীর শিক্ষক আলহাজ মাওলানা ফরহান উল্লাহ।
কক্সবাজার হজ কাফেলা ও কক্সবাজার ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর প্রধান নির্বাহী হাফেজ মাওলানা তোফাইল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় হজের বিভিন্ন নিয়ম কানুন মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শনের মাধ্যমে হজযাত্রীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। শেষে হজের গাইডবুকস অনুষাঙ্গিক সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়।
কক্সবাজার হজ কাফেলার মাধ্যমে এবার প্রায় ১৫০ জনের একটি গ্রুপ পবিত্র হজব্রত পালনে যাচ্ছেন। তাদের মধ্য থেকে কর্মশালায় উপস্থিত কয়েকজনের মধ্যে ছিলেন- কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এডভোকেট মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যাংকার মো. যাকারিয়া চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত নায়েব সুবেদার মো. আমিরুল আলম চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী মো. ফেরদৌস, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এএম আনোয়ার শাহ, কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যাপক এমডি শহীদুল্লাহ, রামু রহমানিয়া মাদরাসার সুপার মাওলানা মোহাম্মদ রফিক, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমীর শিক্ষক আলহাজ মাওলানা ফরহান উল্লাহ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুফিজুর রহমান, নুরুল বশর চৌধুরী, মাস্টার মো. তৈয়ব, হোটেল গার্ডেন এর এমডি দেলোয়ার হোসেন, কক্সবাজার সরকারী মহিলা কলেজের কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ কায়ছার, খুরুশকুলের কাজী মো. মনজুর আলম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ‘কক্সবাজার হজ কাফেলা’ ইতিমধ্যে ওমরাহ ও হজ যাত্রীদের সেবার মাধ্যমে সুনাম কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য এই কাফেলাকে ‘সেরা প্রতিষ্ঠান’ হিসাবে স্বীকৃতিও দেয়া হয়েছে। আগামীতে সেবার মান ধরে রাখতে সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন কাফেলার স্বত্ত্বাধিকারী হাফেজ মাওলানা তোফাইল উদ্দিন চৌধুরী।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।