২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়

কক্সবাজার থেকে বান্দরবান -বাংলাদেশের সৌন্দর্যে বিস্ময়


বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নগরী কক্সবাজার থেকে আরেক পর্যটন নগরী বান্দরবানে যাত্রা। নতুন অভিজ্ঞতা নিতে ছুঠে চলা।
১০ ফেব্রুয়ারী। সকাল ১১টা।কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর ) নতুন অফিস বাসস্টেশন থেকে স্বপরিবারে পূরবী বাসে উঠলাম।আগে থেকেই কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বাস ভাড়া করা ছিল।
সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক বনভোজন। প্রতি বছরই এধরনের আয়োজন থাকে। কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সকল সদস্য নিরিবিলি হোটেল মাঠ থেকে সকাল ৯টায় বাসে উঠলেও সঙ্গত কারণে আমি উঠেছিলাম।
দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের সময় পৌঁছে গেলাম বান্দরবনের পর্যর্যটন কর্পোরেশনের মেঘলায়। মেঘলা পর্যটন স্পটের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বান্দরবান পর্যটন হোটেলটি। সাময়িক অবস্থানের জন্য এটি একটি চমৎকার রেষ্ট হাউজ। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়। আর আমার রুমটা ছিল দ্বিতীয় তলার ৩১০ নাম্বার।দুপুরের খাবার শেষে একটু রেস্ট। বিকালে পর্যটন কেন্দ্র মেঘলায় যে যার মতো ঘুরাঘুরি করলাম।
বান্দরবন শহরের প্রবেশদ্বারে (বান্দরবন শহরের প্রবেশদ্বারে বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের পার্শ্বেই) অবস্থিত বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট মেঘলা। নাম মেঘলা হলেও মেঘের সাথে মেঘলা পর্যটন স্পটের কোন সর্ম্পক নেই।
ঘুরেই দেখা হলো। এ যেন ভুমিতেই বিছানো হয়েছে সুন্দরের গালিচা। এটি সুন্দর কিছু উঁচু নিচু পাহাড় বেষ্টিত একটি লেককে ঘিরে গড়ে উঠেছে। ঘন সবুজ গাছ আর লেকের স্বচ্ছ পানি পর্যটককে প্রকৃতির কাছাকাছি টেনে নেয় প্রতিনিয়ত। আমাদের মতো বৈচিত্র্যপিয়াসী মানুষের আত্মিক ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারণের অপূর্ব স্থান হচ্ছে মেঘলা ।
লেকের উপরে রয়েছে আকর্ষণীয় দুটি ঝুলন্ত ব্রিজ যা আমাদের মুগ্ধ করেছে। চিত্তবিনোদনের অন্যান্য নানা উপকরণের মধ্যে রয়েছে শিশুপার্ক , সাফারি পার্ক, চিড়িয়াখানা, প্যাডেল বোট, ক্যাবল কার, উন্মুক্ত মঞ্চ, চা বাগান, এখানে সবুজ প্রকৃতি, লেকের স্বচ্ছ পানি আর পাহাড়ের চুঁড়ায় চড়ে দেখতে পেলাম ঢেউ খেলানো পাহাড়ী বান্দরবানের নয়নাভিরাম দৃশ্য।


অবশ্য কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্তত ৯০ জন সদস্য (স্বপরিবারে)এ পিকনিকে অংশ নেন। প্রথম দিন কেউ গেছেন নীলাচলে, কেউ গেছেন নীলগিরিসহ বিভিন্ন স্পটে।
আমাদের প্রাণের সংগঠন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের শ্রদ্ধেয় সভাপতি দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোটার আবু তাহের চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ টেলিভিশনের কক্সবাজার জেলা সংবাদ প্রতিনিধি জাহেদ সরওয়ার সোহেল ভাইয়ের প্রাণবন্ত আয়োজন বরাবরই প্রশংসার দাবী রাখে। প্রতি বছর আলাদা কোন স্থানে অন্তত ২টা দিন পরিবারের সকলকে নিয়ে একসাথে ঘুরাঘুরির বন্দোবস্ত করে থাকেন। এই দুই নেতা সহ কাযনির্বাহী কমিটির সম্মানিত দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুল কুদ্দুচ রানা, দৈনিক ইত্তেফাকের কক্সবাজার প্রতিনিধি মো: জুনায়েদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য শ্রদ্ধেয় এড. আয়াছুর রহমান, মুজিবুল ইসলাম সহ অন্যান্য সদস্যরা সত্যি প্রশসংসার দাবীদার। এই সিনিয়র নেতারা অনুজ সকল সাংবাদিক সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রেখেই গেছেন।
মেঘলা পর্যটন স্পটের পাশেই বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বান্দরবান পর্যটন মেঘলা হোটেলটির হল রুমে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্টান। সাংবাদিক ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য ছাড়াও বান্দরবানেরর স্থানীয় রাখাইন শিল্পির গান আর মনোমুগ্ধকর বোলত নৃত্য সকলকে মাতিয়ে তুলেন।
অনুষ্টানে বান্দরবানের জেলা জজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্টান উপভোগ করেন এবং নৈশ ভোজে অংশ নেন।
রাতেই চলে র‌্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণী এবং বার্ষিক সাধারণ সভা। অতপর রাত্রি যাপন। রাতে আলোকিত বান্দরবান শহরটি ছবির মত মনে হয়। ২দিনের খাবার, নাস্তা ও আবাসনের ব্যবস্থাও ছিল অনেক ভালো।
১১ ফেব্রুয়ারী সকালের নাস্তা সেরে মনস্ত করলাম নীলাচল পর্যটন স্পটে যাওয়ার। মোহনা টেলিভিশনের সাংবাদিক আমিনুল হক আমিন, সাংবাদিক আইরিন আকতার ও আমি একটি মাহিন্দ্র (অটোরিক্সা) ঠিক করলাম। সবাই স্ব-পরিবারে যাত্রা করলাম ঠিক ১০টায়। অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে গেলাম নীলাচলে।
বান্দরবন শহরের কাছে উঁচু পাহাড়ের উপর গড়ে তোলা হয়েছে নীলাচল নামে একটি পর্যটন স্পট। সেখানে গিয়েই জানা গেল, পর্যটন স্পটটি এত সুন্দর যে দূর থেকে দেখতে নীল আকাশের সঙ্গে মিশেছে মনে হওয়ায় স্থানীয়রা এর নামকরণ করেছে নীলাচল। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৬০০ ফুট। বান্দরবন শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার  দূরে টাইগার পাহাড় এলাকায় অবস্থিত নীলাচল থেকে সমগ্র বান্দরবন শহরটি এক নজরে দেখা যায়। রাতে আলোকিত শহরটি ছবির মত মনে হয়। তাই অনেকেই এই এলাকাটিকে বাংলার দার্জিলিং বলে থাকেন। নিলাচল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার দৃশ্য ও নির্মল বাতাসে মনে এক স্বর্গীয় অনভূতি আনে। এখানে দেখলাম নীলাচলে শত শত পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। তারা শহর থেকে উচু পাহাড়ের উপর তৈরী এই পর্যটন স্পটটির মনোরম পরিবেশ দেখে মুগ্ধ।
স্থানীয় সুত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০০৩ সালে (ওই সময়ের) বান্দরবানের জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান ভূইয়া পাহাড়টিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। পরে ২০০৬ সালে পহেলা জানুয়ারি দায়িত্ব প্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শেখ আলাউদ্দিন বান্দরবন সদর উপজেলার ১০০ একর জমির উপর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৫-২০০৬ অর্থ বছরে এই পর্যটন স্পটে ২ কক্ষ বিশিষ্ট একটি রেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়।
পাহাড়ের উপরে এই পর্যটন স্পটে উঠা ও নামার অত্যাধুনিক একাধিক ছোট বড়  সিঁড়ি রয়েছে। প্রতিটি সিঁড়ি নানা কৌশলে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। পর্যটন স্পটের উপর থেকে নিচে নামার জন্য অত্যাধুনিক সিড়ি,বসার নানা বেঞ্চ রয়েছে। এই পর্যটন স্পটের উপর থেকে আকাশের সাদা কালো-মেঘ, আর নিচের দিকে অসংখ্য ছোট ছোট পাহাড় দেখা যায়। অদূরে নিচে দেখা যাচ্ছে বান্দরবন শহরটি।


নীলাচল থেকে আমরা অভিযাত্রিদল পৌছলাম শৈলপ্রপাতে। বান্দরবান শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে থানচিমুখী সড়কে শৈলপ্রপাত নামক এই ঝর্ণাটি অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঝর্ণাগুলোর মধ্যে শৈলপ্রপাত অন্যতম যেটি দেখতে প্রচুর পর্যটক এসে থাকে। বর্ষাকালে এই ঝর্ণায় পানির প্রবাহ তীব্র আকার ধারন করে। শৈলপ্রপাতের পানি স্বচ্ছ এবং ঠাণ্ডা। এই ঝর্ণার পানি ব্যবহার করতে পারার কারনে শৈলপ্রপাতের কাছে কয়েকটি গ্রাম গড়ে উঠেছে। স্থানীয়রা এই ঝর্ণার পানি পান করা এবং গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহার করে। প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট হিমশীতল ও শৈলপ্রপাতে সর্বদা পানি বহমান থাকে।
স্থানীয়দের তৈরি হস্তশিল্প সামগ্রী, হাতে তৈরি পোশাক এবং বিভিন্ন খাদ্য বাজারজাত করনের জন্য শৈলপ্রপাতের কাছে একটি ছোট বাজার গড়ে উঠেছে। বছরের যে কোনো সময় এ ঝরনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করা কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে বার্ষিক পিকনিকে গিয়ে এটার দেখার সুযোগ হলো।
এর পর বেলা ২টায় পৌছে গেলাম বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাং বা স্বর্ণমন্দিরে।বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দুই পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং এবং কেওক্রাডং অবস্থিত। বান্দরবান শহরকে বেস্টন করে সাঙ্গু নদী বয়ে চলেছে। মন্দিরের কাছেই একটি ঝরণা আছে। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরটি বান্দরবন সদর থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত। এই পাহাড়ে একটি লেক আছে। লেকের নাম দেবতা পুকুর দেবতা পুকুরটি সাড়ে ৩শত ফুট উচুতে হলে ও সব মৌসুমেই পানি থাকে। বৌদ্ধ ভানে-দের মতে, এটা দেবতার পুকুর তাই এখানে সব সময় পানি থাকে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাং। এই জাদিটি এখন বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের তীর্থ স্থানই নয় দেশী বিদেশী পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষনীয় স্পটে পরিণত হয়েছে। মূলত সোনালী রঙের জন্যেই এটির নাম হয়েছে স্বর্ণমন্দির। সন্ধ্যা ছয়টার পরে মন্দিরে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। মন্দির চত্ত্বরে শর্টপ্যান্ট, লুঙ্গি এবং জুতা পায়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
তবে, পুরো বান্দরবানের পযটন স্পটগুলো ঘুরে বুঝতে পারলাম, পাহাড়িরা পযটকদেরকে লক্ষি মনে করেন। জিনিষপত্রের দাম একটাই বলেন। কোন কিছুর অতিরিক্ত দাম নেওয়ার প্রবনতা চোখে পড়েনি।আসলে এধরনের রেওয়াজ প্রশাসনের নজরদারী নাকি পাহাড়িদের এটাই নিয়ম তা ঝুঝে উঠার সময় পায়নি।


স্থানীয়দের মতে, বান্দরবনের অত্যাধুনিক এই পর্যটন স্পটটি দেশের পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত সুন্দর ও যেতে কোন ঝামেলা বা বিশৃংখলা হয় না। তাই প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বহু দেশী পর্যটক বান্দরবান যান। তারা এক নজর এই স্পটে ঘুরে বেড়ান। শহরের কাছে ও রাস্তাঘাট ভাল থাকার কারনে অনেকেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় সেখানে যান। শিশু কিশোররা মনোরম দৃশ্য দেখে বেশী খুশী হন।
এই স্পটটি ছাড়াও বান্দরবনে আরও বহু পর্যটন স্পট রয়েছে। সেই সব পর্যটন স্পট গুলোও ভাল। পাহাড় ঘেরা বান্দরবন জেলার পর্যটন স্পট গুলো আরও সুন্দর  যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হলে তাও নীলাচলের মত পর্যটন আকর্ষণীয় হবে।
অনেকেই বলছে, বান্দরবনের অন্যান্য পর্যটন স্পট গুলো সরকার আন্তর্জাতিক মানের করলে দেশ যেমন আর্থিক ভাবে লাভবান  হবেন। তেমনি দেশী পর্যটকরা বিদেশে ঘুরতে না গিয়ে বান্দরবনে ছুটে যাবেন। আর বিদেশীরা বান্দরবন পর্যটন স্পটে আসতে উৎসাহী হবেন।
স্থানীয়রা বলেন, বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো উপভোগ করতে এখন দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নীলাচল, নীলগিরি, মেঘলা, শৈলপ্রপাতসহ সরকারী ও বেসরকারী ভাবে অংসখ্য পর্যটন স্পট রয়েছে বান্দরবানে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রান্তিক লেক এবং চিম্বুক পর্যটন স্পটকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে।


পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মনে করেন, বান্দরবনে পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা । সম্মিলিত উদ্যোগ নিলে পর্যটনশিল্প থেকে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব আসবে। ছুটির দিন ছাড়াও গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত ছয় ঋতুর সব সময় বান্দরবন পর্যটন কেন্দ্রেগুলো পর্যটকের আগমন ঘটে।
বেলা আড়াইটার দিকে ফিরলাম হোটেল মেঘলায়। খাবার দাবারের বিশাল আয়োজন। মধ্যাহ্ন ভোজ শেষ করলাম। ঠিক ৩টায় ঘরে ফেরার পালা। বাসে উঠলাম। সবাই ফিরে আসলাম আপনালয়ে। তবে এই দুইদিন অনেক মজা করলাম বান্দরবানে। বান্দরবান থেকে ফেরলাম আনন্দ নিয়ে। আর বান্দরবানেই রেখে আসলাম ঘুরে বেড়ানোর কিছু স্মৃতি। অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের শ্রদ্ধেয় সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুল কুদ্দুচ রানা, এড. আয়াছুর রহমান ও মুজিবুল ইসলামের প্রতি। আল্লাহ আমাদেরকে সুস্থ ভাবে নিজনিজ গন্তব্যে ফেরার সুযোগ দিলেন বলে সৃষ্টিকর্তার কাছেও কৃতজ্ঞ।

 

লেখক- শাহজাহান চৌধুরী শাহীন (সাংবাদিক),

সদস্য- কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন।

 

তাং-১২/০২/২০১৭ইং

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।