আগামি ৮ জুন বিকাল ৩ টায় নির্বাচন কমিশনের ৩১৪ নম্বর কক্ষে উপস্থিত হয়ে এই ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সহকারি পরিচালক মো. আশাদুল হক প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদকে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগে ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন কমিশনে এসে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০০-৩০০ জন নারী পুরুষ নিয়ে গোপনভাবে নির্বাচনি প্রচারণায় কালো টাকা বিতরণ কালে একদল সংবাদকর্মী সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যায় এবং ভিডিও ধারণ করে চলে আসার পথে সংবাদকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এসময় সাংবাদিক মিজানুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ধারণকৃত ভিডিও ডিলিট করাসহ নির্বাচনি আচরণবিধি বহির্ভূত কার্যক্রম করেন মর্মে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করেন।
উল্লিখিত কার্যক্রম পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি ৩০ লংঘন এবং প্রচলিত ফৌজদারী আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ফলে আচরণ বিধি লংঘনে ও বর্ণিত অপরাধ সংঘটনের দায়ে পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী বা প্রচলিত আইনে কেন আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ কক্সবাজার পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনের ০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল অথবা তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে লিখিত বক্তব্যসহ (যদি থাকে) নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং- ৩১৪, নির্বাচন ভবন) আগামী ০৮ জুন ২০২৩ তারিখ বিকাল ৩ টায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, রবিবার রাত ১২ টার দিকে শহরের পাহাড়তলী এলাকায় সংঘটিত একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়। কমিশন ৮ জুন তাকে ব্যাখ্যা প্রদান করতে তলব করেছেন।
রবিরাব রাতে কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা মিজানুর রহমান নামের এক সাংবাদিককে মারধর করে।
মারধরে শিকার মিজানুর রহমান, কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও অনলাইন মাল্টিমিডিয়া সিসিএন এর স্টাফ রিপোর্টার।
তলবের নোটিশ প্রদানের পর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে সোমবার ঘটনার বিষয়ে তিনি মারধর করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার কিছু সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী গোপন বৈঠক করছিলেন তিনি। এসময় একজন প্রার্থীকে সাথে নিয়ে মিজান গিয়ে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলেন। তার গোপন বৈঠকে না ডাকার পরও এসে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলতে নিষেধ করা হয় এবং ধারণ করা ভিডিও ছবি ডিলেট করে দেয়া হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।