১৮ অক্টোবর, ২০২৪ | ২ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ রবিউস সানি, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  উখিয়ায় পাহাড় ধ্বসে যুবকের মৃত্যু   ●  আকাশে উড়লো ফানুস, বাঁকখালী নদীতে ভাসলো ‘কল্প জাহাজ’   ●  সম্পত্তির লোভে চাচার ষড়যন্ত্রে ভাতিজা অপহরণ, তিনদিন পর উদ্ধার   ●  টেকনাফে ছাত্রদল নেতা ইয়াবাসহ আটক!   ●  ৫দিনের রিমান্ডে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর   ●  সেন্টমার্টিন থেকে ফিরার পথে স্পিডবোট ডুবি, নিখোঁজ ১   ●  ‘অনলাইন বাস টার্মিনাল’ সেবার সঙ্গে কমেছে যানজট; তিনদিনে অনলাইন সেবা পেল পর্যটকবাহী ৯০ বাস    ●  কক্সবাজারে প্রতিমা বিসর্জন দিতে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার   ●  কক্সবাজারে ৩ দিনে পুলিশের অনলাইন সেবা নিলো ৯০ ট্যুরিস্ট বাস   ●  কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এল মরা পরপইস

কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যার‍্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৫ শিক্ষক- কর্মচারী বেতন পাচ্ছে না ছয় মাস ধরে

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যার‍্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৫ শিক্ষক কর্মচারি গত মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। কক্সবাজার পৌরসভাপরিচালিত জেলা শহরের এক মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি। প্রতিষ্ঠানটির জন শিক্ষক এমপিও ভূক্ত। সরকারি বেতন কাঠামোতেপাওয়া শিক্ষকের টাকাও জমা হয় পৌরসভায়। ফলে মাস বেতন না পেলে অনিশ্চিত জীবনে প্রতিষ্ঠানটি ৪৫ শিক্ষককর্মচারি।

বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্য মতে, কক্সবাজার পৌর   প্রিপ্যার‍্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন ৩৭ জন, জন কর্মচারি। জানুয়ারি মাসের ভর্তি প্রক্রিয়ার বিবরণ মতে, প্রতিষ্ঠানটিতে ৮৮৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। গত আগস্ট মাস থেকে পর্যন্ত কোন প্রকার বেতন পাননি ৪৫ জন শিক্ষককর্মচারি। প্রতিপ্তষ্ঠানটি একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ২০জুলাই প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন প্রধান শিক্ষক সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়। তাদের নিয়োগের পর থেকেরহস্যজনক কারণে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষক কর্মচারির বেতন। যা প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ বছরের ইতিহাস ভঙ্গ বলে মন্তব্য করেন অনেকশিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিস জানিয়েছেন, শুধু মাত্র শিক্ষকতা করে জীবন পরিচালনা করেন তিনি।বিকল্প কোন আয়ের উৎস নেই। টানা মাসের বেতন না পেয়ে খুব কষ্ঠের মধ্যে দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। কিন্তুডিসেম্বরজানুয়ারিতে নতুন ভর্তি এবং পুন:ভর্তি থেকে ৪০ লাখের কাছা কাছি অর্থ এসেছে বিদ্যালয়ে। এরপরও বেতন বন্ধ।বিদ্যালয়ে নতুন করে রঙ, মাঠে মাটি ভরাট, বাগান তৈরী কাজ করা হচ্ছে। যা দেখে দু: আরও বেড়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক সহকারি প্রধান শিক্ষকের সাথে পৌর কর্তৃপক্ষেরউদাসীনতার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দেয়াল রঙ করা, বাগান করা, মাঠ পরিষ্কার করার নামে নাম সর্বস্ব প্রকল্পগ্রহণ করে অর্থ অপচয় করা হচ্ছে। বেতন দেয়ার কোন খবর নেই।

প্রধান শিক্ষক আমিমুল এহসান মানিক মাসের বেতন বকেয়া থাকার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক।বেতন বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা কষ্ঠে আছেন। তিনি নিজেও পাচ্ছেন না। পৌরসভার সংশ্লিষ্টদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করারকথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উন্নয়ন খাতে যে টাকা নেয়া হয়েছে তা নিয়ে উন্নয়ন চলছে। এটাশিক্ষকদের বেতন হিসেবে দেয়া যায় না।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার পৌরসভার রাসেল চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক মাসের বেতন শিক্ষকদের ব্যাংকএকাউন্টে জমা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় হয়তো মোবাইলে এসএমএস পাবেন। আর যে কয়েক মাসের বকেয়া আছে তা ধারাবাহিকপরিশোধ করা হবে। তবে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সেই এক মাসের বেতন শিক্ষকরা পাননি বলে জানিয়েছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।