কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ১১৬৩ পিচ ইয়াবাসহ এক যাত্রীকে আটক করেছেন বিমানবন্দরের নিরপত্তাকর্মীরা। সোমবার সকাল ১১টার দিকে এসব ইয়াবাসহ আটক করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে নিকট সোপর্দ করা হয়। সড়ক ও নৌ-পথে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারীর কারণে কক্সবাজারে আকাশপথে ইয়াবা পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের সিকিউরিটি গার্ড ইনচার্জ মো.সাবেরুল ইসলাম জানান, আটককৃত মো. জাবেদ সোমবার সকাল ১১টার ফ্লাইটে ঢাকা যাওয়ার জন্য কক্সবাজার বিমান বন্দরে আসেন। সকাল ১১টা ৩০ মি: বেসরকারি বিমান নভো-এয়ারের যাত্রী ছিলেন তিনি। স্ক্রেনিং মেশিন ইনচার্জ উষা মং মারমা স্ক্রেনিং রুমে ট্রলি লাগেজ তল্লাশী চালায়। এসময় তার ব্যক্তিগত ট্রলির চাকার ভিতরে রক্ষিত ১১৬৩ পিচ ইয়াবা উদ্বার করে সিভিলএভিয়েশনের (বিমান বন্দর) নিরাপত্তা কর্মীরা। ধৃত পাচারকারী মো. জাবেদ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বিক্রমপুর এলাকার মৃত আবদু সালামের ছেলে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনাটি বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক হাসান জাহিরকে জানালে তিনি সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ইয়াবা উদ্বারের বিষয়টি অবহিত করেন। পরে বিভিন্ন সংস্থার টিম বিমান বন্দরে পৌছালে প্যাকেটের ভেতরের ইয়াবা গুনে ১১৬৩ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। পরে আটককৃত পাচারকারীকে মো. জাবেদকে বিমান বন্দর থেকে কক্সবাজার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিকট সোপর্দ করা হয় ।
কক্সবাজার বিমান বন্দর ব্যবস্থাপন হাসান জহির জানান, আকাশ পথে ইযাবা সহ মাদক দ্রব্য চোরাচালান রোধে বিমান কর্তৃপক্ষ সর্তকাবস্থায় রয়েছে।
এব্যাপারে কক্সবাজার মাদ্রক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কক্সবাজার সার্কেলের ইন্সপেক্টর ইদ্রচ আহমেদ জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা ১১’শ৬৩ পিচ ইয়াবাসহ ১জনকে আটক করে তাদেরকে সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেয়। পরে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে ইয়াবা সহ আমাদের নিকট সোপর্দ করেন। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রসংগত, সড়ক ও নৌ-পথে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারীর কারণে কক্সবাজারে আকাশপথে ইয়াবা পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন এবং বিমান বন্দরে দায়িত্বরত আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানে করে ঢাকা-চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে ইয়াবা পাচার করে আসছে কয়েকটি সিন্ডিকেঁটি।
কখনো যাত্রী বেশে ব্যবহৃত ব্যাগ, লাগেজ ও ট্রলি আবার কখনো চিংড়ি পোনা বহন কাজে ব্যবহৃত প্যাকেটে করে অভিনব কায়দায় কোটি কোটি টাকার ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছে সিন্ডিকেঁটি। এমনই ভাবে ২৭ এপ্রিল সকালে যাত্রীবেশে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে বিমান বন্দর নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে ১১৬৩ পিচ ইয়াবা আটকের ঘটনা তারই জলন্ত নিদর্শন ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।