বিশেষ প্রতিবেদক : কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলীর নজির হোসেনের ঘোনায় স্ত্রীর সাথে অভিমান করে রেজাউল করিম রনি নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। আজ বুধবার ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে নিজ বাড়িতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। আত্মহত্যাকারী রনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে তাঁর ফেসবুকের টাইমলাইন দেখে।
সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আছেন রোহিঙ্গা রেজাউল করিম রনি। ছোটকাল থেকে শুরু করে লেখাপড়াও কিছুটা চালিয়ে গেছেন এখানে। সেই কলেজ জীবনে প্রেমে পড়েন পশ্চিম পাহাড়তলীর জনৈক কহিনুরের সাথে। পরে প্রেমের সূত্র ধরে সামাজিকভাবে বিয়েও হয় তাদের। সংসারে ২টি সন্তানও আছে তাদের। সূত্রে আরো জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া লেগেই আছে রনি ও কহিনুর দম্পতির মাঝে। গতকাল মঙ্গলবারও ঝগড়া হয় তাদের মাঝে, এরপর সন্তান দু’টি নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায় স্ত্রী কহিনুর। বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার ক্ষোভে ও স্ত্রীর প্রতি ভালবাসায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে যুবক রনি। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ত্রীর প্রতি ‘ভালবাসার অভিমানি’ স্ট্যাটাস দেন এবং আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে নিজ বাড়িতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন রণি। নিচে তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
“আমি চলে যাব জীবনের প্রথম প্রেম শেষ পর্যন্ত একটা মরেন মানুষের মাঝে? মাঝে মাঝে মনে হতো না? আমি একা নই, কিন্তু কহিনুR। আমি চলে যাচ্ছি মানুষ হিসাবে মরেছি*। আমি, বা। মনে পড়ে গেলো বৃষ্টি বন্ধ ব্যর্থ আজ। চলে গেলাম। আমাদের ছোট ছাত্র জীবনে প্রথম প্রেম শেষ করে মৃত্যুর কাছে? এসে সাক্ষ্য দিয়ে যেতে হবে না।আমি ভালোবাসি। আমি জানি না তবে আমি নিশ্চিত। মেয়ে তুমি কি আমার? সাথে দেখা হবে। আমি ভালোবাসি মেঘ আর দেখা হবে না? বলতে পারি।”
এদিকে, কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।