কক্সবাজার শহরে মোটর সাইকেল চুরি বেড়েছে ব্যাপক হারে। এই চোর চক্র শুধুমাত্র ৩০ নভেম্বর একদিনেই ৩টি মোটর সাইকেল চুরি করে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার শহরে মোটর সাইকেল চুরির একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। যাদের বেশির ভাগই উঠতি যুবকরা। এই সংঘবদ্ধ চক্র শহরের টেকপাড়া, সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, বাহারছড়া, মোহাজের পাড়া, ঘোনা পাড়া, রুমালিয়ার ছড়া ও পিএমখালীতে বসবাস করে। সম্প্রতি রাষ্ট্রের শীর্ষকর্তাদের কক্সবাজার সফরকে ঘিরে প্রশাসনের সাড়াশি অভিযানে কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও, আবারও তৎপর শুরু হয়েছে এই সংঘবদ্ধ চোর চক্রের। যার দরুণ ৩০ নভেম্বর একদিনেই শহরের পৃথক পৃথক স্থান থেকে ৩টি মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে। যার মধ্যে- কক্সবাজার সৈকতে বিজিবি পরিচালিত উর্মি রেষ্টুরেন্টের পার্কিং স্থান থেকে ১৫০ সিসি পালসার মোটর সাইকেল (যার রেজিষ্ট্রেশন নং- কক্সবাজার-ল-১১-২১০১, কালার- লাল, ইঞ্জিন নং- DHZCCE90705 চ্যাসিস নং- MD2A11CZ3CCE81234, মোটর সাইকেল সন্ধানকারী শাহাব উদ্দিন, মুঠোফোন নাম্বার- ০১৮৫০-৬৪৬৪৯৪), কলাতলীর হ্যাচারি জোনের পাইওনিয়ার হ্যাচারির সামনে থেকে হিরো হোন্ডা এবং হোটেল-মোটেল জোন এলাকার সী প্যালেসের সামনে থেকে ডিসকভার।
মোটর সাইকেল চুরির ব্যাপারে শহরের নুনিয়া ছড়ার জসিম উদ্দিন জানান, এই সংঘবদ্ধ চক্র মোটর সাইকেল চুরি করে ইঞ্জিন নং, চ্যাসিস নং এবং গাড়ির রং পরিবর্তন করে ফেলে। পরে কোন পাহাড়ি এলাকায় অথবা দূরের কোথাও বিক্রি করে দেয়। সম্প্রতি তার মোটর সাইকেলও চুরি করে এই সংঘবদ্ধ চোর। পরে কক্সবাজার শহরের সায়মন রোডস্থ ভূমি অফিস থেকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, পৃথক এই ৩টি মোটর সাইকেল চুরির ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
কয়েকজন মোটর সাইকেল মালিক জানান, পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারাও এই মোটর সাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত। কারণ, কক্সবাজার শহরে এত মোটর সাইকেল চুরি হচ্ছে কিন্তু প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া পুলিশ মোটর সাইকেল চুরির ব্যাপারে কাউকে গ্রেফতার করলেও, রাজনৈতিক নেতারা তাদের ছাড়িয়ে আনতে নানা তৎপরতা চালান।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মোটর সাইকেল মালিকগণ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।