২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার সমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ বালু ভাস্কর্য নির্মাণ

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবং ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নির্মাণ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ বালু ভাস্কর্য।

জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই ভাস্কর্য নির্মাণ করছে।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্যের প্রতি যে অবমাননা করা হয়েছে তার প্রতিবাদে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে জাতির পিতার বৃহৎ এই বালু ভাস্কর্য তৈরি করে কক্সবাজারবাসী এই বার্তা দেশবাসীকে দিতে চায় যে, পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন জাতির পিতার অস্তিত্ব থাকবে। এছাড়া ১৬ই ডিসেম্বর মানববন্ধন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এটি উন্মুক্ত করা হবেও জানান তিনি।

ভাস্কর্যের আয়োজক ইশতিয়াক আহমেদ জয় জানান, মহান বিজয় দিবসে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী এবং কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে দেশবাসীকে আমরা একটি মেসেজ দিতে চাই, সেটি হচ্ছে একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী জাতির জনকের ভাস্কর্য অপসারণের যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে সেই অপচেষ্টা কখনো সফল হবে না। জাতির জনক থাকবে মানুষের হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধুর এই বালু ভাস্কর্য নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮ লাখ টাকা।

ইতিপূর্বে এই সৈকতে বালু দিয়ে ভাস্কর্য তৈরি হলেও এত বড় ভাস্কর্য আর তৈরি হয়নি বলে জানান আয়োজকরা। যার উচ্চতা প্রায় ১০ ফুটের মতো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের একটি দল কামরুল ইসলাম শিপনের নেতৃত্বে এই ভাস্কর্য নির্মাণে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। গত ৫দিন যাবত তারা কাজ করছেন সৈকতের লাবণী পয়েন্টে।

তিনি আরও জানান, দুটি ভাস্কর্য এখানে তৈরি হচ্ছে একটি বঙ্গবন্ধুর ফ্রি স্ট্যান্ডিং ভাস্কর্য অপরটি রিলিফ ভাস্কর্য। আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে এই ভাস্কর্যের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন এই ভাস্কর্য তৈরির শিল্পীরা। সৈকতে ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীরাও এই ভাস্কর্য দেখে আনন্দিত হবেন এমনটিই মনে করছেন শিল্পীরা।

এই দু’টি ভাস্কর্যের পাশাপাশি পদ্মা সেতুর একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করছেন কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের শিল্পীরা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ভাস্কর্যগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এরপর এগুলো ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে জানান আয়োজকরা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।